Risingbd:
2025-04-14@17:02:37 GMT

ডাস্টবিন সল্পতায় পাবিপ্রবি

Published: 13th, March 2025 GMT

ডাস্টবিন সল্পতায় পাবিপ্রবি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) প্রতিদিনই শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ প্রচুর বহিরাগত আসেন। তাদের ব্যবহৃত উচ্ছিষ্ট ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন নেই বললেই চলে। এতে প্রতিনিয়ত নোংরা হচ্ছে ক্যাম্পাসটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, একাডেমিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একটি করে স্থায়ী ডাস্টবিন এবং মাঠ সংলগ্ন লেকের পাশে ছোট ও মাঝারি চারটি, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সামনে একটি করে ছোট ডাস্টবিন রয়েছে। এছাড়া একাডেমিক ভবনে ও এলিভেটরে কোন ডাস্টবিন পাওয়া যায়নি।

মোছা.

নুরুন্নাহার ইয়াসমিন নুপুর নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “ক্যাম্পাসের মাঠ থেকে শুরু করে সব স্থানেই ডাস্টবিনের স্বল্পতা রয়েছে। ফলে চারপাশে ময়লা পড়ে থাকে, যা অস্বস্তিকর এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে। মেয়েদের ওয়াশরুমগুলোতেও পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। ওয়াশরুমের সামনে ও ভেতরের মেঝেতে টিস্যু পড়ে থাকতে দেখা যায়। শ্রেণিকক্ষগুলোতেও  ময়লা ফেলার ঝুড়ি না থাকায় মেঝে ও বারান্দায় অসংখ্য কাগজের টুকরো দেখা যায়। এ সমস্যার দ্রুত নিরসন প্রয়োজন।”

আরেক শিক্ষার্থী হৃদয় বলেন, “দিনদিন আমাদের ক্যাম্পাস নোংরা বেশি হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় ডাস্টবিন নেই বললেই চলে। আর যেগুলো আছে সেগুলো সবসময় ময়লা আবর্জনা দিয়ে পূর্ণ থাকে। ফলে সবাই ডাস্টবিনের আশেপাশে ময়লা ফেলে। সেগুলো আবার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, যা চরম দৃষ্টিকটু দেখায়। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।”

তিনি আরো বলেন, “মাঠে প্রতিদিন বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনের ইফতার মাহফিল হচ্ছে। ইফতার শেষে ডাস্টবিনের সংকটে ময়লা মাঠের সাইডে জমা করে রাখা হচ্ছে। ফলে বিভিন্নভাবে ময়লা এদিক সেদিকে চলে যাচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।”

এ বিষয়ে এস্টেট শাখার প্রধান ডেপুটি রেজিস্টার সুজা উদ্দিন বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট ডাস্টবিন বসানোর চিন্তা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় পৌরসভার বাহিরে হওয়ায় পৌরসভার থেকে সপ্তাহে একদিন ময়লা নিয়ে যাচ্ছে। ফলে ময়লা আবর্জনা বিভিন্ন জায়গায় জমা হচ্ছে। তবে এ বিষয়টি সমাধানের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে।”

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি ড্রোন শো’র মাধ্যমে শ্রদ্ধা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি ড্রোন শোর মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এ ড্রোন শো প্রদর্শন করা হয়। 

চীন সরকার এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে এই ‘ড্রোন শো’ আয়োজন করা হয়।

প্রায় ১৫ মিনিটের এই শোতে সর্বমোট ২৬০০ ড্রোন ব্যবহার করে ১২টি মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়।

এই ড্রোন প্রদর্শনীর শুরুতেই ছিল খাঁচার ভেতর থেকে উড়াল দেওয়া পাখির প্রদর্শনী। শোষণ-শাসনের খাঁচা ছেড়ে যে পাখি উড়াল দেয়, আসে নতুন বাংলাদেশ-যা ৩৬ জুলাই নামে পরিচিতি পেয়েছে।

এরপরই প্রদর্শনীতে দেখানো হয় অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের আবু সাঈদকে। দুই হাত প্রসারিত করে বুক চিতিয়ে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়া সেই দৃশ্য ড্রোনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। পরে প্রদর্শন করা হয় উত্তরায় বিক্ষোভকারীদের তৃষ্ণা মেটাতে পানির কেস হাতে ছোটা ‘পানি লাগবে, পানি’ বলে পানি বিলানো শহীদ মীর মুগ্ধকে। এতে একটি ছবিতে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে প্যালেস্টাইনের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সংহতিও জানানো হয়েছে।

‘ড্রোন শো’ পরিচালনায় ৬জন সদস্যের চীনা বিশেষজ্ঞ দল গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু করে। ‘ড্রোন শো’ পরিচালনা করেন ১৩ জন চীনা পাইলট বা ড্রোন চালনাকারী বিশেষজ্ঞ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ