আগামী শনিবার (১৫ মার্চ) সারা দেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয় হয়।

এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্ব নেতৃত্বের পুষ্টি ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য  হিসেবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে আসছে।

আরো পড়ুন:

মাগুরায় সেই শিশুর মৃত্যু
আসামিদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ঠাকুরগাঁওয়ের হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ৪ দশমিক ১০ শতাংশ ছিল। ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। পরবর্তীতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।

ভিটামিন ‘এ’ শুধু অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে না। এর পাশাপাশি ৫ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর হারও প্রায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে আনে যা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ (শিশু মৃত্যুর হার কমানো) অর্জনে খুবই সহায়ক ছিল। আমাদের সব শিশু সঠিকভাবে মায়ের দুধ বা সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারে না। ফলে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সের শিশুদের বিরাট অংশ ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতিতে ভুগছে এবং ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে এই ঘাটতি পূরণে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো প্রয়োজন।

ইতোমধ্যে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে দুইবার শতকরা ৯৮ শতাংশ শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা এক শতাংশের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে।

শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। কিন্তু তাদের একটি অংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। অন্ধত্ব একটি পরিবারের জন্য অভিশাপ তথা একটি দেশের জন্য বোঝা। বছরে দুই বার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের এ অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে বহুলাংশে মুক্ত করা যায় এবং শিশুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিও কমানো সম্ভব।

অন্তর্বর্তী সরকারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের সব শিশুর অপুষ্টি দূরীকরণ ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে শনিবার সারাদেশে ৬-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

স্বল্প সময়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। ক্যাম্পেইনকে সফল করতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আর তা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ার সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রয়োজন। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম চালু থাকবে।

একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে, সব শিশুকেই যেন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আছে সেই সব মা-বাবা এবং অভিভাবকরা যেন অবশ্যই তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে (ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র) নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান।

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল স ক য ম প ইন র জন য সব শ শ গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

হামজার পর আরও একজন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি সামিত

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন সামিত সোম। অবশেষে আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) জানিয়ে দিলেন তিনি লাল-সবুজের জার্সিতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান।

সূত্র জানিয়েছে, সামিত হ্যাঁ বলায় রোববার থেকে তাঁর পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবে বাফুফে। এ বিষয়ে আজ বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সামিত আমাদের জানিয়েছে সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়। এখন পাসপোর্ট করতে কোন প্রক্রিয়ায় এগোতে হবে, কত দিন লাগবে এসব জানতে চেয়েছে সে।’

এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুন। সেই ম্যাচের আগেই সামিতের পাসপোর্ট ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চায় বাফুফে।

২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সামিতের জন্ম কানাডায়। মা-বাবা দুজনই বাংলাদেশি। ফলে তাঁর বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে খুব বেশি সমস্যা হবে না মনে করছে বাফুফে। তবে সামিত কানাডার জাতীয় দলের হয়ে খেলায় ফিফার অনুমতির ব্যাপারও আছে।

সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা গেলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সামিতকে অভিষেক করানোর কথা ভাবছে ফুটবল ফেডারেশন। এ বিষয়ে সামিতও আগ্রহী জানিয়ে ফাহাদ করিম বলেন, ‘সামিত বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচগুলোর বিষয়ে আমাদের থেকে জানতে চেয়েছে।

কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কালাভরি এফসির মিডফিল্ডার সামিত। ২০১৬ সালে কানাডার অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে ৭টি ও ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন ৪টি ম্যাচ। ২০২০ সালে কানাডার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেন দুটি ম্যাচ।

প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হিসেবে বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হয় ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া জামালের। এরপর জাতীয় দলে আসেন ফিনল্যান্ডে জন্ম নেওয়া তারিক কাজী।

সর্বশেষ গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী, যা অতীতের সব উচ্ছ্বাসই ছাপিয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হল না খোলায় ক্যাম্পাসে অবস্থানের ঘোষণা কুয়েট শিক্ষার্থীদের
  • সাড়ে ৩ কোটি টাকার মালামাল লুট: ডাকাত গ্রেপ্তার
  • রাত ৮টার মধ্যে হল খোলার দাবি কুয়েট শিক্ষার্থীদের 
  • রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবি কুয়েট শিক্ষার্থীদের
  • কয়েক কোটি টাকার প্রস্তাব কেন ফেরালেন সামান্থা?
  • ছয় অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস, বন্দরে সতর্কতা
  • মার্কিন ডলারের মান সর্বনিম্নে নেমেছে
  • প্রতিশোধ নিতেই বড় শাহীনকে খুন, নারীকে দিয়ে পাতা হয় ফাঁদ
  • হামজার পর আরও একজন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি সামিত
  • সাভারে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে ফের ছিনতাই, স্বর্ণালঙ্কার লুট