বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের সর্বনিম্ন বেতন সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

আরও পড়ুনপরিসংখ্যান ব্যুরোতে বড় নিয়োগ, পদ ২৬৬৪ ঘণ্টা আগে

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো.

সায়েদুর রহমান বলেন, ‘বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে যেসব চিকিৎসক কর্মরত থাকেন, তাঁদের একটি বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) দাবি করা হয়েছে। আসলে তাঁদের পে-স্কেল দেওয়াটা একটা দুরূহ বিষয়। কারণ, এটি ইউনিফর্ম কাঠামো নয়। ঢাকা, বিভিন্ন মহানগর, জেলা শহর, উপজেলা শহর, বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের বেতনক্রম ভিন্ন হবে।’ তিনি বলেন, ‘তবে চিকিৎসকদের জন্য একটি সর্বনিম্ন বেতন কাঠামোর প্রস্তাব দেব। বেসরকারি যেসব চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের মালিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দ্রুতই আমরা একটি সর্বনিম্ন বেতন চিকিৎসক এবং চিকিৎসকদের সহায়ক নার্সসহ অন্যদের জন্য প্রণয়নের চেষ্টা করব। আমরা আশাবাদী যে আমরা অল্প দিনের মধ্যেই সর্বনিম্ন বেতন ঘোষণা করতে সক্ষম হব।’

আরও পড়ুনআইইএলটিএস প্রস্তুতি, ইংরেজির স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য প্রতিদিন করণীয়৫ ঘণ্টা আগে

অধ্যাপক সায়েদুর রহমান আরও বলেন, চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার বয়স ৩২ বছর। এটাকে দুই বছর বাড়িয়ে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষার বয়স ৩৪ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনবিশেষ বিসিএসে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ, বাড়ছে বয়স১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসকদ র চ ক ৎসক র জন য ব স এস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে বর্হিবিভাগ বন্ধ

পাঁচ দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতিতে গেছেন ইন্টার্নি চিকিৎসকেরা। এর ফলে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ কর্মসূচি চলছে। ঢাকা মেডিকেলের পাশাপাশি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বহির্বিভাগে বন্ধ আছে। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিপদে পড়েছেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ‘সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে দিনভর কর্মসূচি পালনের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। পাঁচ দাবিতে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক নাদিম হোসাইন।

ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি এবং বর্হিবিভাগ বন্ধ থাকায় চরম বিপদে পড়েছেন রোগীরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন রোকসানা বেগম। তিনি চর্ম রোগে অক্রান্ত বলে জানালেন।

মুন্সীগঞ্জ থেকে ১৬ মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে এসেছেন মা সায়মা বেগম। তিনি বলছিলেন, টিকেট কাটার পরও বাচ্চাকে দেখাতে পারেন নি।

ঢাকা মেডিকেলের বর্হিবিভাগ সূত্র বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জানায়, প্রতিদিন এ সময় অন্তত ৭০০ টিকেটে বিক্রি হয়ে যায়। আজ এখন পর্যন্ত অনলাইন ও সরাসরি মিলে ১৯০টি টিকেট বিক্রি হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক শরিফুল হাসান রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, সকাল নয়টা থেকে তাঁদের কর্মবিরতি চলছে। সোহরাওয়ার্দী ও ঢাকা মেডিকেলের পাশাপাশি মিডফোর্ট হাসপাতালের বর্হিবিভাগও বন্ধ আছে।

এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না- এমন দাবি তুলে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টেইনি চিকিৎসকরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশেষ বিসিএসে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ
  • বিশেষ বিসিএসে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ, বাড়ছে বয়স
  • চিকিৎসকদের কর্মবিরিতি প্রত্যাহার
  • চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢামেক-সোহরাওয়ার্দীর বর্হিবিভাগ সেবা বন্ধ
  • ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢামেক-সোহরাওয়ার্দীর বর্হিবিভাগ সেবা বন্ধ
  • কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিকিৎসকদের মহাসমাবেশ চলছে
  • ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে বর্হিবিভাগ বন্ধ
  • কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসকদের কমপ্লিট শাটডাউন, চরম ভোগান্তিতে রোগীরা
  • প্রাইভেট ও কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি