বিধানসভা নির্বাচনে বিস্ময়কর জয়ের পর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ১০ পৌরসভার মেয়র নির্বাচনেও বিজেপির জয়জয়কার। রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি ১০টির মধ্যে ৯টিতেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। মানেসর পৌরসভা বিজেপি দখল করতে না পারলেও সেখানে জয়ী হয়েছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ প্রার্থী ইন্দ্রজিৎ যাদব। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। গতকাল বুধবার ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেল, কংগ্রেস একটি পৌরসভাও দখল করতে পারেনি।

বিজেপি জিতেছে পানিপথ, রোহতক, হিসার, কারনাল, আম্বালা, সোনিপত ও যমুনানগরের পাশাপাশি দিল্লি লাগোয়া গুরুত্বপূর্ণ গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদ পৌরসভা।

বিপুল এ জয়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সৈনি বলেন, লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচনের পর পৌরসভাতেও জিতিয়ে হরিয়ানার মানুষ বুঝিয়ে দিলেন, তাঁরা ‘ট্রিপল ইঞ্জিন’ সরকারের পক্ষে। এভাবে হরিয়ানার জনতা প্রধানমন্ত্রীর ‘বিকশিত ভারত’–এর স্বপ্ন সত্যি করবে।

এই ভোটের ফলাফল বুঝিয়ে দিল, বিধানসভায় অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের ধাক্কা রাজ্য কংগ্রেস এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। গত বছর বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস পুরোপুরি নির্ভর করেছিল জাট নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দর সিং হুডার ওপর। উপেক্ষিত হয়েছিলেন দলিত নেত্রী কুমারী শৈলজাসহ অন্য অনগ্রসর নেতা–নেত্রীরা। অতিরিক্ত জাটনির্ভরতার দরুণ জাতপাত সর্বস্ব হরিয়ানার অ-জাট জনতা বিজেপির পাশে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ফলে ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও বিজেপি জিতে যায়। প্রমাণিত হয়, বিজেপির মোকাবিলায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ধাক্কা কংগ্রেস এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

গোষ্ঠী কোন্দল সামলাতে ব্যর্থ বলেই কংগ্রেস এখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি, বিধানসভায় বিরোধী নেতা কাকে করা হবে। এ পরিস্থিতিতে পৌরসভার ভোটের ধাক্কা তাদের আরও কোণঠাসা করে দিল। কংগ্রেসের পাশাপাশি আম আদমি পার্টি, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালার দল আইএনএলডি ও বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়া সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালার দল জেজেপিও পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র ব ধ নসভ প রসভ

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধকৌশল হিসেবে গাজায় যৌন সহিংসতাকে ব্যবহার করেছে ইসরায়েল

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এক নতুন প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, গাজায় সংঘাতের সময় নারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’চালিয়েছে ইসরায়েল এবং যুদ্ধকৌশল হিসেবে যৌন সহিংসতা ব্যবহার করেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।

জাতিসংঘে ইসরায়েলের স্থায়ী মিশন জেনেভায় প্রতিবেদনে অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন, পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব বলে বর্ণনা করেছে।

পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েলসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, “ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার ফিলিস্তিনিদের একটি দল হিসেবে প্রজনন ক্ষমতা আংশিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জন্ম রোধের উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা আরোপ করা, যা রোম সংবিধি এবং গণহত্যা কনভেনশনের গণহত্যার অন্যতম শ্রেণি।”

কমিশন বলেছে, চিকিৎসা সরবরাহের সীমিত প্রবেশাধিকারের কারণে মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধি ছাড়াও এই পদক্ষেপগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।

প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার পর ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতির অংশ হিসেবে জোরপূর্বক জনসাধারণকে বিবস্ত্র করেছে ও যৌন নির্যাতন চালিয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ