দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর দায়ের করা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট-ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু। 

ঢাকার বিশেষ আদালতের বিচারক রেজাউল হকের আদালত বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। 

মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি দুদক বাদী হয়ে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। তবে দুদক ২৬ (১) ধারায় আসামি মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুর প্রতি নোটিশ জারি না করেই মামলা দায়ের করে। মূলত আসামিকে তার সম্পদের বিবরণী দুদকে দাখিল করতে বলা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি ঢাকার বিশেষ আদালত-১০ এ স্থানান্তরিত হয়।

একপর্যায়ে মামলা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় আসামি মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুকে বৃহস্পতিবার বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালতে মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ মঈনুল হাসান লিপন। তিনি জানান, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে প্রতারণামূলক নোটিশ জারি দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিলো মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুর বিরুদ্ধে। 

তিনি বলেন, মামলার আগে আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করতে হয়। কিন্তু দুদক সেটি না করেই সরাসরি আইনের লঙ্ঘন ঘটিয়ে মামলা দায়ের করেছে। একে তো মামলাটি মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক তার ওপরে আইনের লঙ্ঘন। ফলে সার্বিক বিবেচনায় ঢাকার বিশেষ আদালত-১০ এর বিচারক রেজাউল হক বৃহস্পতিবার মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুকে এই মিথ্যা মামলা থেকে চূড়ান্ত অব্যাহতি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে দ্রুত বিচার আইনে গুলশান থানায় ২০০৭ সালের ৮ মার্চ দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় গত ৪ মার্চ আদালত মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ য় র কর

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধকৌশল হিসেবে গাজায় যৌন সহিংসতাকে ব্যবহার করেছে ইসরায়েল

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এক নতুন প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, গাজায় সংঘাতের সময় নারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’চালিয়েছে ইসরায়েল এবং যুদ্ধকৌশল হিসেবে যৌন সহিংসতা ব্যবহার করেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।

জাতিসংঘে ইসরায়েলের স্থায়ী মিশন জেনেভায় প্রতিবেদনে অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন, পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব বলে বর্ণনা করেছে।

পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েলসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, “ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার ফিলিস্তিনিদের একটি দল হিসেবে প্রজনন ক্ষমতা আংশিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জন্ম রোধের উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা আরোপ করা, যা রোম সংবিধি এবং গণহত্যা কনভেনশনের গণহত্যার অন্যতম শ্রেণি।”

কমিশন বলেছে, চিকিৎসা সরবরাহের সীমিত প্রবেশাধিকারের কারণে মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধি ছাড়াও এই পদক্ষেপগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।

প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার পর ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতির অংশ হিসেবে জোরপূর্বক জনসাধারণকে বিবস্ত্র করেছে ও যৌন নির্যাতন চালিয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ