Prothomalo:
2025-03-13@12:07:17 GMT

পরিবেশবান্ধব ইকো কোট

Published: 13th, March 2025 GMT

বায়ুদূষণের প্রভাবে জনজীবন এখন দুবির্ষহ। বায়ুবাহিত বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান শ্বাস-প্রশ্বাসে ঝুঁকি তৈরি করছে। এতে অ্যালার্জিসহ দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে পরিবেশগত সচেতনতা গুরুত্ব দিয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ ইকো কোট রং তৈরি করছে। এই রং ভবনের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের উভয় দেয়ালের জন্য বেশ উপযোগী। সাধারণ রং শুধু দেয়ালের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, কিন্তু বার্জার ইকো কোট দেয়ালের স্থায়িত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি বায়ুদূষণ কমিয়ে পরিবেশ রক্ষায়ও কার্যকর ভূমিকা রাখে। বার্জার ইকো কোট রঙের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এপিএইচ প্রযুক্তি, যা বায়ুদূষণ কমানোর ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। এই রং কার্বন ডাই– অক্সাইড, মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড, সালফার অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও ফর্মালডিহাইডের মতো ক্ষতিকারক গ্যাস শোষণ করতে সক্ষম। ফলে ঘর ও আশপাশের পরিবেশের বায়ুদূষণের মাত্রা ৯০ শতাংশ কমিয়ে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে এই রং। এই রং শিশু, বৃদ্ধ এবং সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

বার্জার ইকো কোট শুধু পরিবেশের জন্য ভালো নয়, বরং এটি বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমায়। সাধারণ রঙে উদ্বায়ী জৈব যৌগ (ভিওসি), ভারী ধাতু ও তীব্র রাসায়নিক গন্ধ থাকে, যা শ্বাসকষ্ট বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। তবে ইকো কোট কম গন্ধযুক্ত, ভিওসি-মুক্ত এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিকবিহীন হওয়ায় এটি ঘরের পরিবেশকে নিরাপদ ও আরামদায়ক রাখে।

বার্জার ইকো কোটের গুণগত মানের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসজিএসের মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ফলে এটি ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ভরযোগ্য ও টেকসই সমাধান দিচ্ছে। 

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব শ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধকৌশল হিসেবে গাজায় যৌন সহিংসতাকে ব্যবহার করেছে ইসরায়েল

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এক নতুন প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, গাজায় সংঘাতের সময় নারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’চালিয়েছে ইসরায়েল এবং যুদ্ধকৌশল হিসেবে যৌন সহিংসতা ব্যবহার করেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।

জাতিসংঘে ইসরায়েলের স্থায়ী মিশন জেনেভায় প্রতিবেদনে অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন, পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব বলে বর্ণনা করেছে।

পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েলসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, “ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার ফিলিস্তিনিদের একটি দল হিসেবে প্রজনন ক্ষমতা আংশিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জন্ম রোধের উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা আরোপ করা, যা রোম সংবিধি এবং গণহত্যা কনভেনশনের গণহত্যার অন্যতম শ্রেণি।”

কমিশন বলেছে, চিকিৎসা সরবরাহের সীমিত প্রবেশাধিকারের কারণে মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধি ছাড়াও এই পদক্ষেপগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।

প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার পর ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতির অংশ হিসেবে জোরপূর্বক জনসাধারণকে বিবস্ত্র করেছে ও যৌন নির্যাতন চালিয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ