Prothomalo:
2025-04-18@00:10:41 GMT

সাশ্রয়ী রং ওয়ান কোট

Published: 13th, March 2025 GMT

বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী এবং দ্রুতগতিতে রং করার দারুণ একটি অনুষঙ্গ। বাড়ির সৌন্দর্য ও সুরক্ষার জন্য অনন্য সমাধান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের রঙের খোঁজ করেন গ্রাহকেরা। রং করার কাজ বেশ সময়সাপেক্ষ ও ঝামেলার মনে করেন অনেকেই, তাদের জন্য বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন দারুণ একটি সমাধান। এই রং সুন্দর ও দীর্ঘস্থায়ী দেয়ালের জন্য মানসম্পন্ন রঙের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ওয়ান কোট ইমালশন শুধু দেয়ালের চেহারা বদলে দিচ্ছে না, বরং দেয়ালের স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেয় এবং ঘরের পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর রাখে।

বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন রঙের মাধ্যমে দেয়ালে শক্তিশালী ও অভিন্ন ফিনিশ নিশ্চিত করা যাচ্ছে। সাধারণ রঙের তুলনায় এটি অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ কভারেজ দেয়, এতে কম রঙেই অধিক পরিমাণ দেয়াল রং করা যাচ্ছে। আর একবার রঙের ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই রং দ্রুত শুকিয়ে যায়। এই রঙের মাধ্যমে নান্দনিক আবেদন ও বিলাসবহুল চকচকে ভাব আনা যাচ্ছে। ওয়ান কোট ইমালশন রং দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে ভবনের রং নিশ্চিত করা যাচ্ছে বলে দ্রুত পরিশীলিত ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি হয়। 

এই রং দেয়ালে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষার পাশাপাশি সহজভাবে দেয়াল পরিষ্কার করার সুযোগ দিচ্ছে। এই রঙের দেয়ালের উজ্জ্বলতা অনেক দিন ধরে অক্ষুণ্ন থাকে আর ঘর সব সময় নতুনের মতো দেখায়। অনেক সময় দেয়ালে আর্দ্রতা বা বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে রং উঠে যায় বা বিবর্ণ হয়ে যায়। তবে বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন ক্ষার প্রতিরোধী, যার ফলে এটি দেয়ালের গুণগত মান বজায় রাখে এবং রং দ্রুত নষ্ট হয় না। ফলে একবার রং করলে তা দীর্ঘদিন সুন্দর ও প্রাণবন্ত থাকে। যেকোনো ঘরকে নতুন ভাব আনতে এই রঙের জুড়ি নেই। যাঁরা শহরে থাকেন, নিজের ঘরে ভিন্নমাত্রিক ছাপ আনতে চেষ্টা করছেন তাঁদের জন্য এই রং সুন্দর সুযোগ তৈরি করছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য স ন দর

এছাড়াও পড়ুন:

হাত জোড় করছি, ফিরিয়ে দিন সন্তানদের

‘কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। দোষ থাকলে, অন্যায় করলে উপযুক্ত শাস্তি দিন। তবু সন্তান হারানোর বেদনা যেন কারও বুকে না লাগে। আমি হাত জোড় করছি, আমাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিন।’

গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এমন আকুতিই জানান অপহৃত দিব্যি চাকমার মা ভারতী দেওয়ান। বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ির কুকিছড়া থেকে ফেরার পথে গত বুধবার ভোর ৬টার দিকে পাহাড়ি পাঁচ শিক্ষার্থী অপহৃত হন। এ অপহরণের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট- ইউপিডিএফকে (প্রসীত) দায়ী করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপহৃতদের উদ্ধরে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।

পিসিপির কেন্দ্রীয় শাখার সভাপতি নিপন ত্রিপুরা বৃহস্পতিবার সমকালকে বলেন, ‘আমরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, ইউপিডিএফ অপহৃতদের অভিভাবকদের একটি স্থানে ডেকেছে। বিকেলে অভিভাবকরা সেখানকার উদ্দেশে রওনা হন। পরে আর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।’ তিনি অবিলম্বে অপহৃতদের সুস্থ শরীরে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি অন্বেষ চাকমা বলেন, অপহরণকারীরা সকালে একটি স্থানের নাম বলেছিল অভিভাবকদের। পরে পরিবর্তন করে আরেকটি স্থানে ডাকে। বিকেল থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। 

অপহৃতরা হলেন– চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও পিসিপির চবি শাখার সদস্য রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো। তাদের মধ্যে রিশন চাকমার বাড়ি রাঙামাটির জুরাছড়ির মৈদং ইউনিয়নের জামেরছড়িতে। লংঙি ম্রোর বাড়ি বান্দরবানের আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নে; একই জেলায় বাড় অলড্রিন ত্রিপুরার; রাঙামাটির বরকল সদরের চাইল্যাতুলিতে দিব্যি চাকমা ও একই জেলার বাঘাইছড়ির বটতলায় মৈত্রীময় চাকমার।

এর আগে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী বিজু উৎসব উপলক্ষে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বেড়াতে যান। উৎসব শেষে গত মঙ্গলবার তারা চট্টগ্রামে ফেরার উদ্দেশ্যে বাঘাইছড়ি থেকে দীঘিনালা হয়ে খাগড়াছড়ি সদরে আসেন। সেখানে বাসের টিকিট না পাওয়ায় খাগড়াছড়ি শহর থেকে কিছুদূরে পানছড়ি সড়কের কুকিছড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেন। গত বুধবার ভোরে কুকিছড়া থেকে অটোরিকশায় খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল নামক জায়গায় দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে তাদের অপহরণ করে। 

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও অপহৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত ১৮৩ আদিবাসী শিক্ষার্থী যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথী ভুবন চাকমার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হলেও তাদের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন অপহরণের ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মানবাধিকারবিরোধী ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার পরিপন্থি। অপহৃতদের উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

ইতোমধ্যে অপহৃতদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ঢাকা সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণের শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। তাদের অবস্থান কিছুটা শনাক্ত করা গেছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, বিভিন্নভাবে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে আসলে ঘটনাটি কী, কাদের হেফাজতে তারা রয়েছে। যৌথ অভিযানে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ