চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি, জেনে নিন সময়সূচি
Published: 13th, March 2025 GMT
নতুন নিয়মের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে প্রথমদিকে কিছু সংশয় থাকলেও, ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এটি দারুণ রোমাঞ্চ নিয়ে এসেছে। শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনার ম্যাচগুলো প্রমাণ করেছে যে ইউরোপিয়ান ফুটবলের এই মহারণে কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়। শেষ ষোলো থেকেই নাটকীয়তার ঝড় বয়ে গেছে, যেখানে লিভারপুল ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের মতো জায়ান্ট দলগুলো টাইব্রেকারের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বিদায় নিয়েছে।
এবারের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ আটে থাকা চারটি দল বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলোতেই। দল চারটি হলো— লিভারপুল, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, বায়ার লেভারকুজেন এবং লিল। তবে যারা টিকে আছে, তারা ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত।
কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
বার্সেলোনা বনাম বরুশিয়া ডর্টমুন্ড,
বায়ার্ন মিউনিখ বনাম ইন্টার মিলান,
পিএসজি বনাম অ্যাস্টন ভিলা,
আর্সেনাল বনাম রিয়াল মাদ্রিদ।
আরো পড়ুন:
৯ গোল করে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনাল
৪২ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাস্টন ভিলা
প্রতিটি ম্যাচই একেকটি ফুটবল ক্লাসিক। তবে বায়ার্ন বনাম ইন্টার এবং আর্সেনাল বনাম রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচ ঘিরে বাড়তি উত্তেজনা রয়েছে।
পুরনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নাকি নতুন অধ্যায়ের শুরু?
বায়ার্ন মিউনিখ বনাম ইন্টার মিলান:
২০০৯-১০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই ইউরোপীয় পাওয়ারহাউস। সেই ফাইনালে হোসে মরিনহোর ইন্টার ২-০ গোলে হারিয়েছিল বায়ার্নকে। এবার কি বায়ার্ন সেই পুরনো হারের প্রতিশোধ নিতে পারবে?
আর্সেনাল বনাম রিয়াল মাদ্রিদ:
২০০৫-০৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় করেছিল আর্সেনাল। এবার কি গানাররা একই কীর্তি গড়তে পারবে, নাকি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখবে?
বার্সেলোনা বনাম বরুশিয়া ডর্টমুন্ড:
ডর্টমুন্ড বর্তমান চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্যতম ফাইটিং দল, তবে বার্সেলোনার অভিজ্ঞতা ও স্কোয়াডের গভীরতা তাদের ফেভারিট করে তুলেছে। নিঃসন্দেহে এই ম্যাচও বেশ উত্তাপ ছড়াবে এই রাউন্ডে।
পিএসজি বনাম অ্যাস্টন ভিলা:
অ্যাস্টন ভিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তুলনামূলক নতুন প্রতিযোগী হলেও তাদের পারফরম্যান্স চমকে দিয়েছে অনেককে। পিএসজির তারকা-সমৃদ্ধ দল কি ভিলার আক্রমণ সামলাতে পারবে শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ের পথে?
কোয়ার্টার-ফাইনালের সূচি:
প্রথম লেগ: ৮ ও ৯ এপ্রিল,
ফিরতি লেগ: ১৫ ও ১৬ এপ্রিল।
চারটি মহারণ, আটটি শীর্ষ দল— এখন প্রশ্ন, কারা জায়গা করে নেবে সেমিফাইনালে? ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে এবার কে হবে বিজয়ী?
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ ক য় র ট র ফ ইন ল অ য স টন ভ ল আর স ন ল ইন ট র ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
শুরু হচ্ছে মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা, খুশি জেলেরা
ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের বংশবিস্তার, বেড়ে ওঠা ও টেকসই আহরণের জন্য ২০১৫ সাল হতে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে সরকার। ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকায় এ অবরোধের বিরোধিতা করে আসছিলেন জেলেরা।
প্রতিবেশী জেলেদের আগ্রাসন বন্ধে পালন করেন সময়সীমা কমিয়ে পেছানোর জন্য মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি। তাই জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবছর ভারতের সঙ্গে মিল রেখে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
অবরোধের সময়সীমা কমিয়ে পুনর্বিন্যাস করায় উচ্ছ্বসিত রয়েছেন জেলেরা। তাই এ অবরোধকে স্বাগত জানিয়ে ইতোমধ্যে অনেক জেলে গভীর সমুদ্রে থেকে তীরে ফিরেছেন। এছাড়া এখনো যে সকল জেলেরা গভীর সমুদ্রে রয়েছেন তারা ১৪ তারিখ সন্ধ্যার মধ্যে তীরে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা। তবে অবরোকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক প্রদেয় প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানো, নিষেধাজ্ঞা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রণোদনা প্রদানের এবং সাগরে প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।
মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব জেলে আমির হোসেন বলেন, “২০১৫ সাল থেকে ৬৫ দিনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে সরকার। এ সময় ভারতের অবরোধ না থাকায় তারা আমাদের দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যেত। অবরোধের পর সম গভীর সমুদ্রে গিয়ে আমরা ফিরতাম খালি হাতে। আমরা শুরু থেকেই এর প্রতিবাদ করে আসছি। তবে এবছর সরকার সময়সীমা এক সপ্তাহ কমিয়েছে এবং ভারতের সঙ্গে মিল রেখে সময়সীমা পিছিয়ে দিয়েছে। এতে আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি অবরোধের পর আমাদের জালে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়বে। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের যেন অবরোধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে চাল দেওয়া হয়।”
লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের চল্লিশোর্ধ্ব জেলে মোসলেম মিয়া বলেন, “আমরা শুনেছি এই ৫৮ দিনে মাত্র ৭৭ কেজি করে চাল পাবো। আমার পরিবার ছয় সদস্যের। এ চাল আসলে অপ্রতুল। তাই সরকারে কাছে অনুরোধ আমাদের যেন চালের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া অনেক সময় প্রকৃত জেলেরা চাল পায় না। আমরা যারা নিবন্ধিত জেলে রয়েছি আমরা যেন চাল পাই, সে ব্যবস্থা যেন করা হয়।”
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, “জেলায় প্রায় ৮১ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে সমুদ্রগামী জেলে রয়েছে ৪৭ হাজার। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে প্রত্যেক জেলেকে ৭৭ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। এছাড়া অবরোধ শতভাগ সফল করতে আমাদের প্রচারণা চলছে। অবরোধকালীন সময়ে সমুদ্রে নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ টহল পরিচালনা করবেন।”
ঢাকা/ইমরান/টিপু