বাংলাদেশের একটি ছবিতে নায়িকা হিসেবে থাকছেন পাকিস্তানের মডেল ও অভিনেত্রী জারা আহমেদ। ‘ফোর্স’ নামের একটি  সিনেমায় সম্প্রতি জারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ছবিটির পরিচালক আসিফ ইকবাল জুয়েল। তিনি জানান, জারা আহমেদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। এ সিনেমায় পাকিস্তানের এই মডেলকে পুলিশের চরিত্রে দেখা যাবে। এক নারীর প্রতিশোধের গল্প ঘিরে এই সিনেমা।

 সিনেমায় পাকিস্তানের মডেলকে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে এ তরুণ নির্মাতা জানান  ‘পুলিশ চরিত্রের জন্য আমরা অনেক দিন ধরে নারী অভিনয়শিল্পী খুঁজছিলাম। আমাদের চাওয়া ছিল, নিয়মিত জিম করেন, এমন একজন অভিনয়শিল্পী, যিনি মারপিট করতে পারবেন, যাঁকে দেখতে পরিশ্রমী মনে হবে, মুখটা হতে হবে লম্বাটে, চোয়াল কিছুটা ভাঙা—মোটকথা, যে মেয়েটাকে অ্যাকশনে মানায়। অনেক খোঁজার পর আমরা পাকিস্তানের মডেলকে পছন্দ করেছি।’

কীভাবে খোঁজ পেলেন এই মডেলের, এ প্রসঙ্গে পরিচালক জানান, সিরিয়ালে জারার অভিনয় দেখে পছন্দ হয় তাঁর। পরে তিনি ‘ফোর্স’ সিনেমার ৩০ সেকেন্ডের একটি লুক এই মডেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন। নির্মাতার ভাষ্যে, ‘আমাদের অ্যাকশন লুক দেখেই পাকিস্তানের মডেল অবাক হয়ে যান। পরে তাঁকে সিনেমার চিত্রনাট্যসহ পুরো পরিকল্পনা পাঠাই। তিনি দেখে পছন্দ করেছেন। ব্যাটে–বলে মিলে যাওয়ায় আমরা কাজটি করছি।’

আসিফ জানান, বর্তমানে সিনেমাটির প্রি–প্রোডাকশনের কাজ চলছে। আগামী ১০ এপ্রিল এফডিসিতে শুটিং শুরু করবেন। এফডিসি ছাড়াও কেরানীগঞ্জ, গাজীপুরে শুটিং করবেন এই তরুণ নায়িকা। প্রায় দুই সপ্তাহ 

পরিচালক আসিফ এর আগে ‘চোখ’ সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। এদিকে পাকিস্তানি এই মডেল ‘ছু লে আসমান’ নামে একটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। মডেলিংয়ে বেশি দেখা গেলেও এর আগে ‘হাম কাহা কে সোচে থে’, ‘খুদসার’সহ একাধিক টিভি সিরিজে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন। ‘ফোর্স’ সিনেমায় জারার নায়ক হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশের ম্যাক দিদার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধকৌশল হিসেবে গাজায় যৌন সহিংসতাকে ব্যবহার করেছে ইসরায়েল

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এক নতুন প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, গাজায় সংঘাতের সময় নারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’চালিয়েছে ইসরায়েল এবং যুদ্ধকৌশল হিসেবে যৌন সহিংসতা ব্যবহার করেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।

জাতিসংঘে ইসরায়েলের স্থায়ী মিশন জেনেভায় প্রতিবেদনে অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন, পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব বলে বর্ণনা করেছে।

পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েলসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, “ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার ফিলিস্তিনিদের একটি দল হিসেবে প্রজনন ক্ষমতা আংশিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জন্ম রোধের উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা আরোপ করা, যা রোম সংবিধি এবং গণহত্যা কনভেনশনের গণহত্যার অন্যতম শ্রেণি।”

কমিশন বলেছে, চিকিৎসা সরবরাহের সীমিত প্রবেশাধিকারের কারণে মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধি ছাড়াও এই পদক্ষেপগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।

প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার পর ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতির অংশ হিসেবে জোরপূর্বক জনসাধারণকে বিবস্ত্র করেছে ও যৌন নির্যাতন চালিয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ