শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার অটোরিকশাচালক
Published: 13th, March 2025 GMT
পঞ্চগড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম সৌরভ (৩০) নামে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সৌরভের বাড়ি পঞ্চগড় পৌরসভার উত্তর দর্জিপাড়া এলাকায়।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলছিল। এ সময় সৌরভ কৌশলে শিশুটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে।
শিশুটির পরিবার জানায়, শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে তার মা খুঁজতে গিয়ে সৌরভের ঘরে আপত্তিকর দৃশ্য দেখতে পান। তিনি চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে সৌরভের পরিবারের সদস্যরা শিশুটির বাবাকে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ সৌরভকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। তাকে আসামি করে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুটির বাবা বলেন, “তার সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। তারপরও সে আমার মেয়ের সাথে এমনটা করেছে। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে মারধরও করে। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।”
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, “শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/নাঈম/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
বাগেরহাটে বাস ও ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে সিয়াম গাজী (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে বাগেরহাট-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বলভদ্রপুর বালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনায় ইজিবাইকের চালকসহ আরও তিনজন আহত হয়।
নিহত সিয়াম গাজী মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী গ্রামের মজিবর গাজীর ছেলে। আহতরা হলেন- নিহতের বাবা মজিবর গাজী (৫০), তাদের প্রতিবেশী রশিদ খান (৭৫) ও ইজিবাইক চালক বাপ্পি (৩০)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহেষপুরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. তোমেজ উদ্দীন বলেন, সিয়াম ও তার বাবা তাদের একজন প্রতিবেশিকে নিয়ে ইজিবাইকে করে পিরোজপুর সদরে তাদের নিকট আত্মীয়ের মরদেহ দেখতে যাচ্ছিলেন। বলভদ্রপুর বালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক অর্থাৎ পিরোজপুর থেকে বাগেরহাটের দিকে আশা একটি যাত্রীবাহী বাসের ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকের চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে সিয়াম গাজী নামের একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা যান। অন্যরা বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাস্তার পাশে একটি ট্রাক রাখা ছিল। যার ফলে ইজিবাইক এবং যাত্রীবাহী বাস কেউ কাউকে দেখতে পায়নি। যানবাহন দুটি ট্রাকটিকে পাশ কাটিয়ে সড়ক অতিক্রম করার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।