জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সেবা নিজেদের অধীন রাখতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত নির্বাচন ভবনের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান করেন।

শুরু থেকেই এনআইডি সেবা দিয়ে আসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এ সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে নিতে আইন সংশোধন করেছিল, তবে তা কার্যকর হয়নি।

এখন অন্তর্বর্তী সরকার জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্ট সেবা নিয়ে স্বতন্ত্র একটি কমিশন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এনআইডি সেবা নিজেদের হাতে রাখতে কর্মসূচি পালন করছেন ইসির কর্মকর্তারা। ৫ মার্চ তাঁরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেন এবং কিছু সময় তাঁর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন। আজ তাঁরা সারা দেশে দুই ঘণ্টা ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করেন।

এতে আইডিয়া-২ প্রকল্পের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেন।

আজকের কর্মসূচি থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন। তিনি বলেন, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আইন বাতিল করে এনআইডি সেবা ইসির অধীন রাখার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেলে আগামী বুধবার তিন ঘণ্টা অপারেশনাল হল্ট (কর্মবিরতি) কর্মসূচি পালন করা হবে।

এনআইডি ইসির অধীন থাকা উচিত: ইসি সচিব

এদিকে আজ দুপুরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইসির অবস্থান হচ্ছে এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীন থাকা উচিত। কারণ, এটা ২০০৭ সালে গড়ে ওঠেছে ইসির কাছে। ইসির কারিগরি দক্ষতা আছে, এখান থেকে কাম্য সেবা দিচ্ছে ইসি। তিনি বলেন, সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, এতে কোনো মন্তব্য করার সুযোগ তাঁর নেই। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মতামত দিতে পারবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় গণহত্যা বন্ধে ঢাবিতে সাদা দলের মানববন্ধন, প্রয়োজনে যুদ্ধে নাম লেখাতে রাজি

গাজায় গণহত্যা বন্ধে সারা পৃথিবীর মানুষকে এক হয়ে প্রতিবাদ জানাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের নেতারা। প্রয়োজনে যুদ্ধে নাম লেখাতে রাজি আছেন বলেন তাঁরা।

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল মানববন্ধন ও কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচি পালন করে। বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এক ঘণ্টা ধরে এই কর্মসূচি চলে।

মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ও সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেছেন,'আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি, থাকব। যদি প্রয়োজন হয় আমরা যুদ্ধে নাম লেখাতে রাজি আছি।'

মোর্শেদ হাসান খান বলেন, গাজায় তাঁরা বোমা নিক্ষেপ করছে। শত শত নারী-পুরুষের লাশ গাজায় পড়ে আছে। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীর মানুষকে এক হয়ে যার যার জায়গা থেকে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে।

ইসরায়েলকে তাদের ভাষায় জবাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আ.ফ.ম ইউসুফ হায়দার৷ কেবল ওপেকভুক্ত দেশগুলো যদি তেল দেওয়া বন্ধ করে তাহলে এই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে আসবে বলেন তিনি।

প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাংলাদেশে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে তা ঠিক হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইকরামুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ নাসরিন সুলতানা, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আখতার হোসেন।

সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়া অন্যান্য বিভাগ ও অনুষদের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোগনগরে খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • বাবা হত্যার বিচার দাবিতে রাস্তায় দুই শিশু
  • দুই ছাত্রীকে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম
  • নেত্রকোনায় হেফাজত নেতার বাড়িঘরে হামলা ও মারধর, অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
  • জমি নিজের দাবি করে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল
  • বন্দরে রনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি
  • নোয়াখালীতে বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে অপর পক্ষের হামলা
  • বাউফলে সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন, যুবদল নেতাকে শোকজ
  • গাজায় গণহত্যা বন্ধে ঢাবিতে সাদা দলের মানববন্ধন, প্রয়োজনে যুদ্ধে নাম লেখাতে রাজি
  • টাকা আত্মসাৎকারীকে জামিন দেওয়ায় গ্রাহকদের ক্ষোভ