পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় ২৩৯ বিডিআর সদস্যের জামিনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে জামিনের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর বোরহান উদ্দিন জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের বিষয়ে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন।

বৃহস্পতিবার আবু সাঈদ খান নামের এক অবসরপ্রাপ্ত মেজর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর পর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ নিয়ে মামলায় ২৮৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। এ মামলায় ৮৩৪ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন ১৭৮ জন। 

শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো.

বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, আসামিপক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় ৪৬২ জনের জামিন আবেদন করা হয়। এর মধ্য মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ এক আসামির পক্ষে দুই বারও জামিন আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জামিন আদেশের বিষয়টি বিলম্বিত হচ্ছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চ আদালত একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। সেখানে নতুন করে তদন্ত হচ্ছে। তাই, আদালতের উচিত ছিল টাস্কফোর্সের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ও সাজার মেয়াদ পূর্ণ করা আাসামিদের জামিন দেওয়া।

গত ১৯ জানুয়ারি ১৭৮ জন জন বিডিআর সদস্যকে জামিন দেন একই আদালত। পরে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তারা। 

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। 

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

থাকছে না ‘রিসিভার’, বেক্সিমকো গ্রুপ চলবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়

হাজার হাজার শ্রমিক ও কর্মীর স্বার্থ বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থার তদারকি এবং যথাযথভাবে আইন মেনে বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলার অনুমতি দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজে রিসিভার নিয়োগ এবং সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্টে (সংযুক্ত) অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের প্রয়োজনীয়তা না থাকায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের দাখিল করা প্রতিবেদন উল্লেখ করে আদালত বলেন, এতে দেখা যায় যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংকগুলো ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজের সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ক্ষেত্রে খেলাপি ও শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়ে তাদের দায়িত্ব পালনে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে; এর পরিণতি শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকেই বহন করতে হবে।

রায়ে আদালত বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, অন্য সব সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজের ঋণ অনুমোদন সুবিধার ক্ষেত্রে ব্যাংকিং বিধিবিধান লঙ্ঘিত হওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রশ্নবিদ্ধ ঋণসুবিধা দেওয়ায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দায়ী হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হলো।

আদালতে রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান ও আইনজীবী ফাতেমা এস চৌধুরী শুনানিতে ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী আনিসুল হাসান শুনানিতে ছিলেন।

রায়ের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মুনীরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেক্সিমকো গ্রুপের ১৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৯টি পাবলিক/প্রাইভেট কোম্পানি। যার প্রতিটিতে আদালতের আদেশ অনুসারে রিসিভার নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। রিসিভার কার্যক্রম বৈধ বলা হয়েছে রায়ে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিসিভার প্রয়োজন নেই। বেক্সিমকো গ্রুপ নিজেরাই তাদের কোম্পানি পরিচালনা করবে। এ ক্ষেত্রে বেক্সিমকো গ্রুপকে দেশের প্রচলিত আইন–বিধিবিধান যথাযথভাবে মানতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার তদারকি থাকবে। বেক্সিমকো গ্রুপের খেলাপি ও শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’

গত ২৫ বছরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অন্য সব ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিশোধের পর ঋণ মওকুফ বিষয়ে তথ্যাদি সরবরাহসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওই রিটটি করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এতে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করতে ও গ্রুপটির কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনায় ছয় মাসের জন্য ‘রিসিভার’ নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়। রিসিভার নিয়োগের আদেশ স্থগিত চেয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে আবেদন করা হয়। এর শুনানি নিয়ে গত ১২ নভেম্বর আপিল বিভাগ শুধু বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ক্ষেত্রে রিসিভারের বিষয়টি স্থগিত করেন। পাশাপাশি হাইকোর্টে এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়, যা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। সেদিন শুনানি শেষে আদালত ১২ মার্চ রায়ের জন্য দিন রাখেন। পর্যবেক্ষণ, সিদ্ধান্ত, নির্দেশনাসহ নয়টি পয়েন্ট উল্লেখ করে আজ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে মানুষের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
  • মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে নানা মহলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
  • মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে নানা মহলের মানুষের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
  • পাবনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী নিজামী পুত্র মোমেন
  • প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাবেন ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা 
  • সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তফা রিমান্ডে, নদী কারাগারে
  • সোনারগাঁয়ে আইনজীবীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ
  • জামিন পেলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার
  • থাকছে না ‘রিসিভার’, বেক্সিমকো গ্রুপ চলবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়