সিঁদুর পরাতে গিয়ে হাত কেঁপেছিল বরের, এরপর কনে যে সিদ্ধান্ত নিলেন
Published: 13th, March 2025 GMT
পাত্র স্কুল শিক্ষক। এর পাশাপাশি পড়াশোনাও চলছে তার। তিনি বিএড এর শিক্ষার্থী। আরও ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। পারিবারিক পছন্দে বিয়ে করতে এসে বিপদে পড়লেন। সিঁদুর পরানোর আগ পযন্ত সব ঠিকই ছিল। ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। বর ও কনের বাড়ির সম্মতিতে চার হাত এক হয় তাদের। কিন্তু কনে বিদায়ের সময় বরের বাড়িতে যেতে অসম্মতি জানায় কনে।
বাড়ির সদস্যরা চমকে যায় কনের সিদ্ধান্ত জেনে। তারা কারণ জানতে চাইলে কনে জানায় সিঁদুর পরানোর সময় বরের হাত কেঁপেছে। যার অর্থ হচ্ছে সে শারীরিকভাবে অসুস্থ। আর অসুস্থ স্বামীর সঙ্গে সংসার করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, দেশটির রাজস্থানের ঢোলপুরের বাসিন্দা দীপিকার সঙ্গে করৌলির যুবক প্রদীপের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কনের বাবা গিরিশ কুমার মেয়ের বিয়ের আয়োজনে কোনো ঘাটতি রাখেননি। নাচ-গান প্রচুর হইহুল্লোড় সবই হয়েছিল। অনেক অতিথিও এসেছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি যেতে অস্বীকার করেন দীপিকা। কারণ জানতে চাইলে
সবাই মিলে দীপিকাকে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর নতুন স্ত্রীকে রেখে একা বাড়ি ফেরেন প্রদীপ।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ, মামলা তুলে না নেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ
বরগুনা সদর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত ৫ মার্চ ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় এই মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার একমাত্র আসামি সীজিব চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন অভিযুক্তের বাবা শ্রীরাম চন্দ্র রায়। কিন্তু, বাদী মামলা তুলে নেননি। এজন্য তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়ির পেছন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্ত্রী বলেন, ‘‘গত রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় স্বামীর মোবাইলে করি। সে সময় বাড়ির পেছন থেকে তার মোবাইলের রিংটোনের শব্দ ভেসে আসছিল। দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি, তার মরদেহ পড়ে আছে।’’
আরো পড়ুন:
কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: তিন জনের যাবজ্জীবন, দুই শিশুর ১০ বছরের দণ্ড
বিরামপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, গ্রেপ্তার ১
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘গত ৪ মার্চ আমার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে সীজিব চন্দ্র রায়। পরদিন এ ঘটনায় ওর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই সীজিবকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল সিজীবের বাবা শ্রীরাম চন্দ্র রায়। মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে হত্যা করেছে শ্রীরাম।’’
বাদীপক্ষের আইনজীবী বাবুল দাস বলেন, ‘‘আদালতে আজ ধর্ষণ মামলার তারিখ ধার্য ছিল। এর আগে, বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন শ্রীরাম চন্দ্র রায়। আজ তার মরদেহ পাওয়া গেল।’’
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণ মামলার বাদীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত শ্রীরাম চন্দ্র রায়সহ ৪ জনকে আটক করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব