রাজধানীর কল্যাণপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনির শিকার যুবক কারাগারে
Published: 13th, March 2025 GMT
রাজধানীর কল্যাণপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনির শিকার মো. জাবেরকে (৩৫) আজ বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাজ্জাদ রোমন প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গতকাল বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কল্যাণপুর মিজান টাওয়ারের সামনে জাবের নামের ওই যুবককে ছিনতাইকারী সন্দেহ গণধোলাই দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তাঁর কাছ থেকে একটি চাকু ও একটি কাঁচি জব্দ করা হয়েছে।
সাজ্জাদ রোমন বলেন, পরে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জাবেরকে মিরপুর মডেল থানায় নিয়ে গিয়ে দস্যুতা ঘটানোর অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবানে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে খিয়াং সম্প্রদায়ের ১৭ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরী ধর্ষণের মামলায় মো. জামাল হোসেন (২৬) নামে এক শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে রোয়াংছড়ি থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রোয়াংছড়ি থানায় ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে মো. জামাল হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মো. জামাল হোসেন পটুয়াখালী জেলার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। জামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবান আর্মি পাড়ায় বসবাস করে আসছেন। তিনি রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, রোয়াংছড়ি সদর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের খামতাং পাড়ার মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী সবসময় পাড়ার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে। গত সোমবার (১০) মার্চ সন্ধ্যায় সড়ক সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক মো. জামাল হোসেন পাড়ার সাকিনের শ্বশান ঘাটের সামনে এলাকায় একা পেয়ে মেয়েটিকে টেনেহিঁচড়ে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা পাড়ায় জানাজানি হলে অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরদিন মঙ্গলবার সকালে রাস্তার কাজে নিয়জিত অন্য শ্রমিকরা তাকে আটক করে পাড়াবাসীর কাছে তুলে দেন। পাড়াবাসী অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে একটি স্কুলে আটকে রেখে রোয়াংছড়ি থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
ভুক্তভোগীর ভাই জানান, বাবার মৃত্যুর পর তার বোন মানসিকভাবে আরো বেশি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এরপর থেকে পাড়ার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে। ধর্ষক জামাল হোসেনের সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি।
রোয়াংছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশেকুল ইসলাম বলেন, “মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনার পরের দিন অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছি।”
ঢাকা/চাইমং/এস