১৯৪ কোটি বাজেটের সিনেমার আয় ১ হাজার ৩ কোটি টাকা
Published: 13th, March 2025 GMT
রাশমিকা মান্দানা ও ভিকি কৌশল অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘ছাবা’। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় এটি। রাশমিকা মান্দানা অভিনীত চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা এটি।
লক্ষ্মণ উতেকার পরিচালিত এই সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৯৪ কোটি টাকা। তবে মুক্তির প্রথম দিনই বক্স অফিসে সাড়া ফেলে এটি। দীর্ঘদিন সেই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। তবে এখন আয়ের গ্রাফ ওঠানামা করছে। এ পর্যন্ত কত টাকা আয় করেছে সিনেমাটি?
স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ দিনে ‘ছাবা’ সিনেমা শুধু ভারতে আয় করেছে ৬৩৩.
আরো পড়ুন:
ছাবা ঝড়: ২৩ দিনে আয় ১ হাজার কোটির দুয়ারে
রাশমিকার সঙ্গে রোমান্স, সালমান নিলেন ১৬৭ কোটি টাকা
‘ছাবা’ সিনেমার গল্প শিবাজির পুত্র ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের জীবনের ওপর ভিত্তি করে এগিয়েছে। ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে ভিকি কৌশল ও মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের চরিত্র রূপায়ন করেছেন অক্ষয় খান্না। সম্ভাজি মহারাজের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা।
তা ছাড়াও অভিনয় করেছেন— আশুতোষ রানা, ডিয়ানা পেন্টি, দিব্যা দত্ত প্রমুখ। দীনেশ বিজন প্রযোজিত এ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার বেশি)।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, এসি মামুনের অপসারণ দাবি ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ‘ব্যর্থ’ চিহ্নিত করে তাঁর পদত্যাগ, পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবদুল্লাহ আল মামুনকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের শিক্ষার্থীরা।
হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ধর্ষক-নিপীড়কদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের শিক্ষার্থীরা।
‘ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী ৯ দফা দাবিতে গণপদযাত্রা ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা, আন্দোলনের সংগঠকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অন্যায্য মামলা এবং হামলার পর সংঘবদ্ধ অপপ্রচারকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের বক্তব্য’ শিরোনামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী স্কাইয়া ইসলাম লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। এতে অভিযোগ করা হয়, গত মঙ্গলবার ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে ৯ দফা দাবিতে পদযাত্রা ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ প্রথমে হামলা করেছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, ‘মঙ্গলবার ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নবিরোধী মিছিল আটকানোর জন্য ডিএমপি প্রথমে কোনো নারী পুলিশ রাখেনি, পুরুষ পুলিশরা নারী শিক্ষার্থীদের ওপর খুবই নৃশংস কায়দায় হামলা করেছে। এ হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনে নারীদের ওপর এসি মামুনের ন্যক্কারজনক হামলা আবারও পুলিশের গণবিরোধী চরিত্রের উন্মোচন ঘটাল। আন্দোলনকারীরা আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে মোকাবিলা করেছে এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্যও এতে আহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি, যা অপ্রত্যাশিত।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই হামলার দায় পুলিশ-প্রশাসনসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিতে হবে। এই হামলা চলমান আন্দোলনের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবির যথার্থতা প্রমাণ করে। এই নৃশংস পুলিশি হামলার পর ন্যায্য আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে একদল মানুষ সংঘবদ্ধভাবে উসকানিমূলক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। বিভিন্ন ছবি ও খণ্ডিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে এই হামলাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মিথ্যা ও খণ্ডিত অপপ্রচারে অনেকে বিভ্রান্তও হয়েছেন।
মঙ্গলবারের ঘটনায় গতকাল বুধবার রমনা থানায় একজন সাংবাদিকসহ আন্দোলনকারী ১২ শিক্ষার্থী ও অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনের নামে ‘মিথ্যা মামলা’ করা হয়েছে উল্লেখ করে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বলেছে, ‘অবাক হতে হয়, যখন দেখি সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না, এমন কয়েকজনের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণহারে এই মামলা করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সীমা আক্তার, জোহরা নাজিফা, অর্থি আনজুম, ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী তিলোত্তমা ইতি, সুমাইয়া আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের অনেকে বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
লিখিত বক্তব্য পাঠের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নারী শিক্ষার্থীরা। এক প্রশ্নের উত্তরে তিলোত্তমা বলেন, ‘আমাদের শাহবাগী বা ফ্যাসিবাদের দোসর বলে ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। ফ্যাসিস্টের দোসর হলে তো আমরা জুলাই আন্দোলনে অংশ নিতাম না, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতাম না। ট্যাগিংয়ের রাজনীতি বন্ধ না হলে জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।’
মামলা-হামলাকে ‘ডাইভার্ট’ করতে মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে এক প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করেন সুমাইয়া আক্তার।