ময়মনসিংহে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
Published: 13th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চার বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সিদ্দিক মিয়া (৫৫) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় নেত্রকোনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিদ্দিক মিয়া একই উপজেলার বাসিন্দা। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর্জা মাযহারুল আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ দুপুরে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় সম্পর্কে দাদা প্রতিবেশী সিদ্দিক মিয়া শিশুটিকে বলে, লাউ ক্ষেতে চল তোকে নতুন খেলা শেখাব। পরে সেখানে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন তিনি।
এ সময় ভুক্তভোগী ডাক-চিৎকার দিলে তার মা ও দাদি ছুটে এলে সিদ্দিক মিয়া পালিয়ে যান। এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগী বাবা বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা/মিলন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজির সঙ্গে তর্ক, ক্ষমা চেয়ে দায়িত্বে ফিরলেন সেই চিকিৎসক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ শোকজের সন্তোষজনক জবাব দেওয়ায় তাকে ক্ষমা করে পূর্বের পদে বহাল করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে ফেরানো হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান বলেন, ‘‘এই আদেশ বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে।’’
আদেশে বলা হয়েছে, গত ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালীন হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ মহাপরিচালকের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ জন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তার অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তীতে তার দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় তাকে ক্ষমা করে আগের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষ আমাকে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজ শুরু করেছি।’’
ঢাকা/মিলন/রাজীব