পঞ্চগড়ে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শরিফুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভার একটি মহল্লা থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় লোকজন।

গতকাল রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার পঞ্চগড় সদর থানায় শরিফুলের বিরুদ্ধে মামলা করে। শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শরিফুল ইসলাম পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। প্রায় পাঁচ বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তখন থেকেই তিনি একা থাকেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে শিশুটি বাড়ির বাইরের উঠোনে খেলছিল। তার মা বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করছিলেন। প্রতিবেশী শরিফুল কৌশলে শিশুটিকে তাঁর ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তার মা শরিফুলের ঘরের কাছে যান। এ সময় শরিফুল ঘর থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। আশপাশের লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা শরিফুলকে ধরতে গেলে তিনি ইট ছোড়েন। এতে শিশুটির বাবা আহত হন। একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়েন শরিফুল।

শিশুটির বাবা বলেন, ‘শরিফুলের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নাই। আমার এত ছোট মেয়েটার সঙ্গে সে কেন এমন ঘটনা ঘটাল, কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি প্রতিবাদ করে ধরতে গেলে শরিফুল ইট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আবদুল কাদির বলেন, শিশুটি মানসিকভাবে বড় ধরনের আঘাত পেয়েছে। ধর্ষণের বিষয়ে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে কিছুটা পজিটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে। তবে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সোমা ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বিদেশে পালাতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন। 

মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি এ পদে ছিলেন। 

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ