নাট্যনির্মাতা রাকিবুল হাসান সোহেল নিয়মিত নাটক পরিচালনা করছেন। আর এইচ সোহেল নামেও পরিচিত তিনি। এরই মধ্যে নাট্যাঙ্গনে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। দর্শকপ্রিয়তা বিবেচনা করে সময়ের ব্যস্ততম এই নির্মাতা ‘সোনা বউ’ নাটকের সিক্যুয়েল নির্মাণ করেছেন।

‘সোনা বউ-টু’ নাটকে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। এতে তার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিশা। নাটকটি কমেডি মনে হলেও এটি মূলত একটি রহস্যধর্মী নাটক।

নতুন একটি ধারাবাহিকের কাজ শুরু করেছেন এই নির্মাতা। নিজের ব্যস্ততা সম্পর্কে আর এইচ সোহেল বলেন, “মোশাররফ করিমকে নিয়ে নতুন একটি ধারাবাহিক নাটকের প্রথম লটের শুটিং শেষ করেছি। নাম ঠিক না হওয়া ধারাবাহিকটির সম্পাদনার কাজ চলছে। খুব শিগগির দ্বিতীয় লটের শুটিং শুরু করব।”

আরো পড়ুন:

স্পর্শিয়ার প্রেমে দুই ভাই!

সহকারীর লাশ উত্তোলন নিয়ে যা বললেন তানজিন তিশা

প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি সম্পর্কে পরিচালক আর এইচ সোহেল বলেন, “আসলে আমার প্রাপ্তিটাই বেশি, অপ্রাপ্তি নেই বললেই চলে। তবে, আমরা যখন কাজ করতে যাই, তখন অনেক সময় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সময়ের মূল্যায়ন না করার কারণে সমস্যায় পড়তে হয়। আবার বাজেট স্বল্পতার কারণে শুটিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাই না। সময় বেশি পেলে হয়তো কাজগুলো আরো সুন্দর করতে পারতাম।”

নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনাও করছেন সোহেল। খুব শিগগির চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন এই নির্মাতা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুড়ি তৈরির রেসিপির ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে পুরস্কার জেতার সুযোগ

বাঙালি খাদ্যসংস্কৃতিতে বছরের পর বছর ধরে যেসব খাবার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, সেগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে মুড়ি অন্যতম। গ্রামীণ জীবনে যেমন মিশে রয়েছে গুড়ের সঙ্গে মুড়ির স্বাদ, নাগরিক জীবনের চায়ের আড্ডাতেও কিন্তু বাদ যায়নি মুড়ি। তবে একেক অঞ্চলে মুড়ি খাওয়া হয় একেকভাবে। উত্তরাঞ্চলের সরলতায় যেমন মিশে আছে ‘মুড়ির মোয়া’, তেমনি পুরান ঢাকার ঐতিহ্য হলো ‘শাহী মুড়িমাখা’। আর গ্রামবাংলায় মেলা মানেই তো মুড়ি–মুড়কির পসরা।

আর আমাদের দেশে পবিত্র রমজান মাসজুড়েই ইফতারের প্রধান উপকরণ হিসেবে যুগ যুগ ধরে রয়েছে মুড়ি। স্বাস্থ্যসম্মত, ধুলাবালু ও ইউরিয়ামুক্ত মুড়ি দিয়েই ইফতার করতে চান সবাই। ছোলার সঙ্গে মুড়িমাখা ছাড়া যেন ইফতার কল্পনাই করা যায় না। কেউ জিলাপি আর বুন্দিয়ার সঙ্গে মিষ্টি মুড়িমাখা খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ জিলাপি আর মুড়িমাখা একসঙ্গে যেন ভাবতেই পারেন না। অনেকেই আবার বিভিন্ন ধরনের মসলা বানিয়ে ভাজাভুজির সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করেন ঝাল ঝাল মুড়িমাখা। কেউ কেউ সাদামাটাভাবে দইয়ের সঙ্গে মুড়ি মিলিয়েই ইফতার সেরে ফেলতে ভালোবাসেন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রচলিত মুড়ি দিয়ে বানানো হরেক রকমের রেসিপি সংগ্রহে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘রুচি ইফতারে মুড়ি’। ‘রুচি মুড়ি’ ব্র্যান্ডের উদ্যোগটির সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো ডটকম।

আপনার অঞ্চলের জনপ্রিয় অথবা নিজের পছন্দের মুড়ির রেসিপির ছবি অথবা ভিডিও পাঠিয়ে অংশ নিতে পারেন এই ক্যাম্পেইনে। জমা হওয়া রেসিপির মধ্যে থেকে বিজয়ী ১০ জন পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।

অংশগ্রহণের নিয়মাবলি

১. বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।

২. তৈরি করা রেসিপিটির মূল উপকরণ হিসেবে অবশ্যই মুড়ি থাকতে হবে।

৩. রেসিপিটির নাম, উপকরণ ও প্রস্তুতপ্রণালি উল্লেখ করে সেটির ছবি অথবা ভিডিওটি হ্যাশট্যাগ #RuchiIftareMuri দিয়ে পোস্ট করতে হবে নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে।

৪. এরপর পোস্টটির লিংক পাঠাতে হবে [email protected]এ। ই-মেইলে অবশ্যই প্রতিযোগীর নাম, ঠিকানা ও মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

৫. রেসিপির উপস্থাপন, বিশেষত্ব, ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের ভিত্তিতে বিজয়ী নির্ধারিত হবেন।

৬. অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১০ জন বিজয়ী পাবেন রুচির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

৭. প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের শেষ সময়: ২০ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা।

৮. প্রতিযোগিতা-সংক্রান্ত সব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ