বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান পিআরপি (প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা) ইনজেকশন নিয়েছেন। যে চিকিৎসা নিয়ে কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হয়। ওই বিশ্রাম শেষে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরবেন তিনি।

 ঈদের পর প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলতে পারেন বাঁ-হাতি এই পেসার। শুরুতে ডিপিএলে পারিশ্রমিক জটিলতার কারণে দল পাননি তিনি। এছাড়া পুরো মৌসুমের জন্য ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষে তার আইপিএলে খেলতে যাওয়ার গুঞ্জন আছে।  

পিআরপি চিকিৎসা হলো কোন ব্যক্তির নিজস্ব প্লাটিলেট দিয়ে তৈরি ইনজেকশন। একে প্লাটিলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা ইনজেকশন বলা হয়। লিগামেন্ট ও মাংসপেশি ইনজুরিজনিত সমস্যায় এটি প্রয়োগ করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বা ব্যথাযুক্ত স্থানে প্লাটিলেট সরবরাহ বাড়ায়। ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। 

বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে ক্রিকবাজকে বলেছে, ‘তাকে পিআরপি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে মাঠে ফেরার আগে কিছুদিন বিশ্রাম নিতে হবে। মুস্তাফিজ নতুন কোন ইনজুরিতে পড়েননি। পূর্বে তার কাঁধে যে অপারেশন হয়েছিল সেটা মাঝে মধ্যে অসুবিধার সৃষ্টি করে। ওটা ম্যানেজ করেই তিনি খেলছিলেন।’

পিআরপি ইনজেকশন নিলে সাধারণত ১০ দিনের মতো বিশ্রাম থাকতে হয় বলেও জানিয়েছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ। তাকে ঈদের পরে দলে পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তিনি কবে ফিট হন আগে দেখা যাক। আমরা তাকে বাজেটের মধ্যে পেলে দলে নেব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন ড প এল ইনজ কশন প আরপ

এছাড়াও পড়ুন:

‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে: টিউলিপ

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসনের এমপি ও ও সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝবেন যে, এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারকে কোনো প্রসঙ্গ বা মন্তব্যের মাধ্যমে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারি না। এটা পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি।’ খবর-বিবিসি

বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে সোমবার লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষগুলোর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। পুরোটা সময় তারা মিডিয়া ট্রায়াল চালিয়েছে। আমার আইনজীবীরা উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন। তবে তারা কখনও এর জবাব দেয়নি।’

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা তিনটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিন মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে রোববার এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেল কিনা, সে-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অন্য অভিযোগে শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের একজন সহকারী পরিচালক। মামলায় শেখ হাসিনা, টিউলিপসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। 

এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপের খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠায় টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠে। এরপর নিজের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগকে তদন্তের আহ্বান জানান টিউলিপ। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস।

টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেখানে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি। কেয়ার স্টারমার অফিসিয়াল চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিককে বলেন, ‘আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার সময় এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করেছেন- তিনি আপনার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি এবং আর্থিক অসঙ্গতির কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ