সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ছিলেন সব প্রজন্মের জন্য একজন ‘শাইনিং স্টার’ বা ‘উজ্জ্বল নক্ষত্র’। দেশের সব শ্রেণি–পেশার মানুষের কাছে আদর্শ ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের সংখ্যা কম। সেই কমসংখ্যক মানুষের মধ্যে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ছিলেন সব বয়সের মানুষের জন্য উদাহরণযোগ্য একজন সফল ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন আমাদের পারিবারিক বন্ধু। আমার বাবার (স্যামসন এইচ চৌধুরী) সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। সেই সুবাদে আমাদের ছিল দারুণ পারিবারিক সম্পর্ক। তাই তাঁর চলে যাওয়া আমাদের পারিবারিক ক্ষতি। তার চেয়েও বড় ক্ষতি দেশের। কারণ, তাঁর মতো সজ্জন, ব্যক্তিত্ববান ও আদর্শিক মানুষ এখন খুবই কম।

আমার কাছে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ছিলেন একজন ইথিক্যাল বিজনেসম্যান বা নৈতিকতাসম্পন্ন ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব। আমার বাবার সঙ্গে মিলে তিনি ব্যাংক ও বিমাসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেই সূত্রে ব্যবসায়িক পরিসরেও তাঁর সঙ্গে বসে আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তাঁকে দেখেছি কখনো সুশাসনের প্রশ্নে কোনো আপস করতেন না। এমনকি কখনো কোনো ব্যবসায়ে লোকসান হবে জানার পরও সুশাসনের প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন। তিনি বলতেন, নিয়ম–নীতির মধ্যে থেকে ব্যবসা করে সাময়িক লোকসান হলেও দীর্ঘমেয়াদে তার সুফল অবশ্যই মিলবে।

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সম্ভ্রান্ত এক পরিবারে জন্ম। বাবা ছিলেন প্রধান বিচারপতি। সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নিলেও ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি একক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন।এ কারণে সফলতা ও সম্মান দুটিই পেয়েছেন। দেশে একই সঙ্গে সফল ও সম্মানিত যে কজন ব্যক্তি রয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম। এ কারণে তিনি সব শ্রেণির ও বয়সের মানুষের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য।

‘নীতি, আদর্শ ও ধৈর্যশীল থেকেও যে জীবন ও কর্মে সফল হওয়া যায়, তা তিনি আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। শুধু সফল মানুষ নয়, ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। এ কারণে সবার সঙ্গে সমানভাবে মিশতে পারতেন তিনি। দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথাও তিনি সব সময় ভাবতেন। সবার কাছেই তিনি আদর্শিক ব্যক্তি ছিলেন বলে দুবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের দেশ এখন এক অস্থির সময় পার করছে। এ সময়ে ওনার মতো মানুষের খুব দরকার ছিল।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য় আম দ র আদর শ

এছাড়াও পড়ুন:

হাবীবুল্লাহ বাহারের উপাধ্যক্ষকে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেপ্তার

রাজধানীর উত্তরখানের ভাড়া বাসায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় শান্তিনগরের হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুর রহমান ভুঁইয়াকে (৫০)। এ ঘটনায় নাজের ও রুপা নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ফরিদপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে উত্তরখান থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, নিহতের ভাই মুজাহিদুর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ওই ফ্ল্যাটে ২০-২২ বছর বয়সী একজন তরুণ ও একজন তরুণীকে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়। ইতোমধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন নাজের ও রুপা, তারা স্বামী-স্ত্রী।
 
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘‘উত্তরখানের পুরান পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভুঁইয়া। ওই ফ্ল্যাটে কয়েকদিন আগে রুপা ও নাজের নামের ওই দম্পতি ওঠেন। এরপর সোমবার ভোরে তারাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।’’
 
এদিকে মঙ্গলবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে উপাধ্যক্ষের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে পুলিশ মরদেহ আত্মীয়ের কাছে হস্তান্তর করে।
 

ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি-সদস্যদের সম্মানী বন্ধ, শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর
  • বাংলাদেশ সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মতো শিল্পপতিদেরই চায়
  • আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলের হামলা জোরদার
  • বাবা-মা সন্তানের বন্ধু হতে পারেন না: অভিষেক
  • পাবনায় পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২
  • আইসিসির পরোয়ানায় গ্রেপ্তার হলেও দুতার্তের বিচার করা কি সম্ভব হবে
  • শ্রীলীলা-কার্তিকের প্রেম, গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢাললেন অভিনেতার মা
  • উচু করা হচ্ছে সীমানা প্রাচীর বেষ্টনী, চারদিকে বসছে কাঁটাতারের বেড়া
  • হাবীবুল্লাহ বাহারের উপাধ্যক্ষকে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেপ্তার