রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত প্রথম জানাজায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র–শিক্ষকেরা অংশ নেন।

জানাজার আগে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফরাসউদ্দিন আহমেদ এবং সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সন্তান সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বক্তব্য দেন। সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘মৃত্যুর আগে বাবা দুই দিন বারবার একটা কথা বলেছেন, সবার আগে দেশ।’ মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও বলেছেন, ‘আমাকে ফিরে যেতে হবে। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।’ তাঁর হৃদয়-চেতনাজুড়ে ছিল ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। তাঁর খুব কাছের জায়গা ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়।

সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর আরও বলেন, ‘বাবা বলতেন, তোমার কয়টা গাড়ি-বাড়ি আছে, তার জন্য মানুষ তোমাকে মনে রাখবে না; বরং মনে রাখবে, তোমার ব্যবহারের জন্য।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফরাসউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল ৬৫ বছরের। অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি—সৎ ও পরোপকারী। তাঁর হৃদয়টা ছিল বিশাল।’

ফরাসউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘রুপার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিলেন মঞ্জুর এলাহী। ব্যবসা, সমাজ ও শিক্ষায় বিপুল অবদান রেখেছেন তিনি। যে কাজে হাত দিয়েছেন, সেখানেই সোনা ফলিয়েছেন।’

জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শামস রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান, বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি মিরান আলী প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কালো শার্ট পরা একজন মোটিফ দুটিতে আগুন দেয়, পালিয়ে যান ২ মিনিটে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফে একজন ব্যক্তিকে আগুন দিতে দেখা গেছে। চারুকলার সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ এ তথ্য জানতে পেরেছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ জানান, ওই ব্যক্তি কালো টি-শার্ট, বাদামি প্যান্ট ও কালো স্যান্ডেল পরেছিলেন। তাঁর চুল পেছনে ঝুঁটি বাঁধা ছিল। চারুকলার মাঝখানের গেট টপকে ওই ব্যক্তি ভোর ৪ টা ৪৪ মিনিটের ভেতরে ঢোকেন। একই পথে তিনি ৪ টা ৪৬ মিনিটে পালিয়ে যান। তাঁর নাম-পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে তিনি পুলিশকে জানান।

প্রক্টর আরও বলেন, ওই ব্যক্তি প্রথমে তরল দাহ্য পদার্থ দিয়েছেন। তারপর পর্দার আড়ালে চলে গেছেন। তারপর ফুটেজে সেখানে অগ্নিশিখা দেখা গেছে। ওই ব্যক্তি যে গেট দিয়ে ঢুকেছে সেই গেট দিয়েই বেরিয়ে ছবির হাটের দিকে গেছেন বলে জানান প্রক্টর।

পুলিশ তখন কী করছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশকে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে দেখা গেছে। তবে তদন্ত কমিটি সব সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে পরে জানাবে।

আজ ভোরে নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটি আগুনে পুড়ে যায়। এর মধ্যে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি মোটিফটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। আর শান্তির পায়রা মোটিফটি আংশিক পুড়ে যায়।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, সেই ব্যক্তি কে, তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তাঁদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলেন তিনি।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হাসান বলেন, জড়িতদের চিহ্নিত করতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বলছে, তাঁরা আজ ভোর ৫ টা বেজে ৪ মিনিটে তাঁরা আগুন লাগার খবর পান। পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ৫ টা ২২ মিনিটে আগুন নিভিয়ে ফেলে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সেখানে পুলিশও ছিল।

আগুনে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ