গ্রামীণ ব্যাংক–প্রবাসীদের আর্থিক সেবা প্ল্যাটফর্ম-প্রথম নারী ফরেস্টার-বৃহত্তম স্থলবন্দর কোনটি—জেনে নিন
Published: 13th, March 2025 GMT
১. দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান—
ক. ড. ইফতেখারুজ্জামান
খ. মাহদীন চৌধুরী
গ. অধ্যাপক মোস্তাক খান
ঘ. ড. মাহবুবুর রহমান
উত্তর: ক. ড. ইফতেখারুজ্জামান
২. নেপালে রাজতন্ত্রের চূড়ান্ত অবসান ঘটে কত সালে?
ক. ২০০২ সালে
খ. ১৯৯৫ সালে
গ. ২০০৮ সালে
গ. ১৯৯৮ সালে
উত্তর: গ. ২০০৮ সালে
৩. পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে পরিচালিত সশস্ত্র জঙ্গি হামলায় দায়ী গোষ্ঠী—
ক.
খ. তেহরিক-ই-তালিবান
গ. লস্কর-ই-ওমর
থ. আল–কায়েদা
উত্তর: ক. বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি
৪. বাংলাদেশের বাইরে গ্রামীণ ব্যাংকের ধারণা প্রথম চালু হয় কোন দেশে?
ক. জাপান
খ. মালয়েশিয়া
গ. গুয়াতেমালা
ঘ. মেক্সিকো
উত্তর: খ. মালয়েশিয়া
৫. বাংলাদেশের কোন জেলায় সুন্দরবনের সবচেয়ে বেশি অংশ রয়েছে?
ক. সাতক্ষীরা
খ. বাগেরহাট
গ. বরগুনা
ঘ. খুলনা
উত্তর: খ. বাগেরহাট
আরও পড়ুনশিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, সংশোধিত পদ ১৮৭৩ ঘণ্টা আগে৬. প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নির্মিত বিশেষ আর্থিক সেবা প্ল্যাটফর্ম—
ক. দুয়ার
খ. উত্তরণ
গ. প্রবাসী যোদ্ধা
ঘ. বীর
উত্তর : ঘ. বীর
৭. ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিশ্বাস’ নামে পরিচিত হেলুসিনেটিক ড্রাগের রাসায়নিক নাম—
ক. লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড
খ. স্কোপোলামিন
গ. মেসক্যালিন
ঘ. সাইলোসাইবিন
উত্তর: খ. স্কোপোলামিন
৮. ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম রাষ্ট্র—
ক. যুক্তরাজ্য
খ. যুক্তরাষ্ট্র
গ. ফ্রান্স
ঘ. রাশিয়া
উত্তর: খ. যুক্তরাষ্ট্র
৯. সাঁওতালদের প্রধান উৎসব—
ক. ওয়ানগালা
খ. সাংগ্রাই
গ. সোহরাই
ঘ. বাহা উৎসব
উত্তর: গ. সোহরাই
১০. ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ হয়, এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান—
ক. ৪র্থ
খ. ৫ম
গ. ৮ম
ঘ. ১১তম
উত্তর: গ. ৮ম
১১. কোন সালকে জাতিসংঘ ‘আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ’ ঘোষণা করে?
ক. ১৯৬৬ সাল
খ. ১৯৭১ সাল
গ. ১৯৭৫ সাল
ঘ. ১৯৮৫ সাল
উত্তর: গ. ১৯৭৫ সাল
আরও পড়ুনআইইএলটিএস প্রস্তুতি, ইংরেজির স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য প্রতিদিন করণীয়১ ঘণ্টা আগে১২. ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন বিল-২০১৩’-এ জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে ধূমপানে কত টাকা জরিমানার বিধান আছে?
ক. ৫০ টাকা
খ. ২০০ টাকা
গ. ৩০০ টাকা
ঘ. ৫০০ টাকা
উত্তর: গ. ৩০০ টাকা
১৩. বাংলাদেশের প্রথম নারী ফরেস্টার—
ক. মিতা তঞ্চঙ্গ্যা
খ. সংচাং ম্রো
গ. কনিকা বড়ুয়া
ঘ. শ্রাবণী রায়
উত্তর: ক. মিতা তঞ্চঙ্গ্যা
১৪. ‘জাতীয় পাট দিবস’ পালিত হয়—
ক. ৬ মার্চ
খ. ১১ মার্চ
গ. ৮ এপ্রিল
ঘ. ২৭ ফেব্রুয়ারি
উত্তর: ক. ৬ মার্চ
১৫. বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর কোনটি?
ক. হিলি
খ. বেনাপোল
গ. সোনামসজিদ
ঘ. বাংলাবান্ধা
উত্তর: খ. বেনাপোল
১৬. যমুনা রেলসেতু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন করেছে—
ক. এডিবি
খ. বিশ্বব্যাংক
গ. জাইকা
ঘ. আইএমএফ
উত্তর: গ. জাইকা
১৭. ‘বোস্টন টি পার্টি’ সংঘটিত হয়—
ক. ১৭৫৭ সালে
খ. ১৭৬২ সালে
গ. ১৭৭০ সালে
ঘ. ১৭৭৩ সালে
উত্তর: ঘ. ১৭৭৩ সালে
১৮. প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের নেতৃত্বে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করা হয়—
ক. ১৯৩০ সালে
খ. ১৯৩২ সালে
গ. ১৯৩৪ সালে
ঘ. ১৯৩৫ সালে
উত্তর: খ. ১৯৩২ সালে
আরও পড়ুনমাথাপিছু আয়, টেররিজম ইনডেক্স, প্রথম শহীদ মিনার, জাতীয় নাগরিক পার্টি, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এলিফ্যান্ট কূটনীতি কি, জানুন০৬ মার্চ ২০২৫১৯. পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা কোনটি?
ক. অ্যাসেরীয় সভ্যতা
খ. গ্রিক সভ্যতা
গ. মেসোপটেমীয় সভ্যতা
ঘ. মিসরীয় সভ্যতা
উত্তর : গ. মেসোপটেমীয় সভ্যতা
২০. কর্কটক্রান্তি রেখার অক্ষাংশ—
ক. ২৩.৫°উত্তর
খ. ৬৬.৫°উত্তর
গ. ২৩.৫°দক্ষিণ
ঘ. ৬৬.৫°দক্ষিণ
উত্তর: ক. ২৩.৫ উত্তর
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকে নির্বাচনী প্রচারে বিধি ভাঙলেও সাজা
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে আনতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনলাইনে কীভাবে প্রচার করা যাবে, প্রচারে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হলে তার শাস্তি কী হবে—সেসবও যুক্ত করা হচ্ছে আচরণবিধিতে।
ইসির সংশ্লিষ্ট একটি কমিটি বিদ্যমান আচরণবিধির খসড়া অনেকটা চূড়ান্ত করেছে। খসড়াটি চূড়ান্ত করার পর তা নির্বাচন কমিশনের সভায় উপস্থাপন করা হবে। কমিশনে অনুমোদন পাওয়ার পর ইসি নতুন এ আচরণবিধি প্রণয়ন করতে পারবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও তাদের প্রতিবেদনে ২০০৮ সালে করা ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা’ সংশোধন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারসহ কিছু বিষয় যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল।
নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ, সভা, মিছিল, মাইকিং, পোস্টার লাগিয়ে প্রচারের পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউবসহ ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রার্থীরা প্রচার চালিয়ে থাকেন। তবে অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো বিধিবিধান এখন নেই। ২০০৮ সালে তৈরি করা আচরণবিধি সংশোধন করে এবার তা যুক্ত করা হচ্ছে।নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের নির্দিষ্ট সময়ের আগপর্যন্ত রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও সমর্থকেরা নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারেন। তবে দল ও প্রার্থী প্রচারের সময় কী কী করতে পারবেন আর কী কী করতে পারবেন না, তা নির্ধারণ করা আছে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায়। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি না মানলে জেল–জরিমানার পাশাপাশি প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারে ইসি।
নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ, সভা, মিছিল, মাইকিং, পোস্টার লাগিয়ে প্রচারের পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউবসহ ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রার্থীরা প্রচার চালিয়ে থাকেন। তবে অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো বিধিবিধান এখন নেই। ২০০৮ সালে তৈরি করা আচরণবিধি সংশোধন করে এবার তা যুক্ত করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইসি প্রাথমিকভাবে আচরণিবিধির যে খসড়া তৈরি করছে, সেখানে ‘ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা’ শিরোনামে একটি ধারা রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রার্থী বা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট বা ওই ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্য প্রচার শুরুর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করতে হবে।
ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে সব ধরনের অনলাইন প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।তবে অনলাইনে প্রচারের ক্ষেত্রেও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারের সময় ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি, কোনো ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে—এ ধরনের বক্তব্য বা বিবৃতি দেওয়া, কনটেন্ট বানানো ও প্রচার করা যাবে না। ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে সব ধরনের অনলাইন প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।
এ ছাড়া খসড়ায় বলা হয়েছে, দল ও প্রার্থী বা তাঁদের পক্ষে সামাজিক মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি, বিজ্ঞাপন, বুস্টিং, স্পনসরশিপসহ সব ডিজিটাল প্রচারণার ব্যয় নির্বাচনী ব্যয়ের সঙ্গে দাখিল করতে হবে। অনলাইনের ব্যয় প্রার্থীর মোট নির্বাচনী ব্যয়সীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে বিদেশি অর্থায়নে বিজ্ঞাপন বা প্রচার করা যাবে না।
অনলাইনে প্রচারের ক্ষেত্রে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে জেল–জরিমানার পাশাপাশি সাইবার সুরক্ষা আইন বা নির্বাচনের সময় কার্যকর থাকা এ ধরনের আইনের আওতায় সাজার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে খসড়ায়। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও এসব ক্ষেত্রে প্রায় অভিন্ন সুপারিশ করেছিল।
গত সোমবার নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আচরণবিধির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের প্রায় সব কটি আচরণবিধির খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের বিষয়টিও আচরণবিধির খসড়ায় রাখা হয়েছে বলে তিনি সেদিন জানিয়েছিলেন।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ছিলেন নির্বাচন–বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যমান নির্বাচনী আচরণবিধি ২০০৮ সালে করা। সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অনলাইন মাধ্যমের অতটা প্রভাব ছিল না। যেহেতু এখন ডিজিটাল যুগ, ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার চালানো হবে, সেটাই স্বাভাবিক। বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, প্রার্থীরা অনলাইনে ব্যাপক প্রচার চালান। কিন্তু নির্বাচনী ব্যয়ে সে খরচ দেখান না। এসব মিলিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের বিষয়টি একটি বিধি বা নীতিমালার মধ্যে আনা উচিত। এ কারণে সংস্কার কমিশন এ–সংক্রান্ত সুপারিশ করেছিল।