রাজধানীর বাড্ডায় ছুরিকাঘাতে আহত তরুণ মো. তানভীর (২২) আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

পুলিশ ও নিহত তানভীরের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে তানভীরকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। তানভীর ছিলেন জুনিয়র গ্রুপের সদস্য। ওই ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তানভীরকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর বাবা সাহাদুল্লাহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সপরিবার বাড্ডা কবরস্থান এলাকায় থাকেন। তানভীর তাঁদের সঙ্গেই থাকতেন। গতকাল রাতে তানভীর কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবার বাইরে বের হন। বাসার কাছে স্থানীয় সিনিয়র গ্রুপের ছয়-সাতজন সদস্য পূর্বশত্রুতার জেরে তানভীরের পিঠে এলোপাতাড়ি ছুরি মেরে তার কাছ থেকে মুঠোফোন ও মাসিক বেতনের ১০ হাজার টাকা নিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তানভীরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৯টার দিকে মারা যান বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো.

ফারুক।

আজ সকালে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে তানভীরের বাবা সাহাদুল্লাহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হাসানুর রহমান বলেন, মামলা হওয়ার পর গতকাল রাতেই বাড্ডার কবরস্থান এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত শাওন, হাবিব ও স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্র আন্দোলনে নিহত তানজিন তিশার সহকারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী আল-আমিন (১৮) নিহত হন। মৃত্যুর সাত মাস পর তার লাশ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার একটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। 

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে শ্রীনগরের বালাসুর কাশেম নগর কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হন আল-আমিন। পরে তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন ময়নাতদন্ত ছাড়াই গ্রামের বাড়ি শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

আরো পড়ুন:

নেত্রকোণার ধনু নদ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

ট্যাপ থেকে বের হচ্ছিল রক্তযুক্ত পানি, ট্যাংকে পাওয়া গেল লাশ

নিহতের বাবা আইয়ুব খলিফা জানান, অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী হিসেবে কাজ করত তার ছেলে। সেই সুবাদে ঢাকায় বসবাস করত সে। জুলাই অভ্যুত্থানের তার ছেলে নিহত হয়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালে বড় ভাই বাদল খলিফা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শাহীন মাহমুদ বলেন, “ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে সাত মাস পর তোলা হয়েছে নিহত আল আমিনের লাশ। লাশটি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সহকারীর লাশ উত্তোলন নিয়ে যা বললেন তানজিন তিশা
  • সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর জানাজা বৃহস্পতিবার, দাফন বনানী কবরস্থানে
  • কবর থেকে সহকারীর লাশ উত্তোলন, যা বললেন তানজিন তিশা
  • মরদেহ রাতেই ঢাকায় আসছে, শায়িত হবেন বনানী কবরস্থানে
  • ছাত্র আন্দোলনে নিহত তানজিন তিশার সহকারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন