মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আটবছর বয়সী শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। আজ বৃহস্পতিবার আরও দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে। দ্বিতীয় বারে প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পর রিভার্স করেছে। তবে ব্রেন ফাংশন করছে না। রক্ত চাপ ও অক্সিজেন লেভেল অনেক কম। আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে  এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয় শিশুটির। 

তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। শিশুটির সুস্থতার জন্য সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।

গতকাল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটির চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। 

সেনাবাহিনীর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, শিশুটি আজ (বুধবার) চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ মিমি পারদ কিংবা তার চেয়ে নিম্নমুখী।

আট বছরের শিশুটি গত বুধবার (৫ মার্চ) বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ র

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরার শিশুটির অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’

মাগুরার সেই শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির আরও দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। শিশুটির ব্রেন কাজ করছে না। রক্তচাপ ও অক্সিজেনের স্তর অনেক কম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আজ গণমাধ্যমকে শিশুটির অবস্থা জানিয়েছে।

শিশুটির চিকিৎসায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। সে সংকটাপন্নের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আজ সকাল থেকে দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সিপিআর দেওয়ার পর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসতে সময় নিয়েছে আধা ঘণ্টা। অর্থাৎ সে গতকালের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছে। মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় আছে। তার গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) (মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা পরিমাপ করা হয়) ৩–এই আছে। যেখানে স্বাভাবিক মাত্রা ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়।

আরও পড়ুনমাগুরার শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন, এক দিনে চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’১০ ঘণ্টা আগে

শিশুটির শরীরে লবণের পরিমাণের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। লবণের চাপ কমাতে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিএমএইচের চিকিৎসকেরা। গতকাল বুধবার সকাল ও রাতে মিলে শিশুটির চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। গতকালও ডায়ালাইসিস করা হয়।

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটির মা বললেন, ‘ইশ্‌! ক্যান যে পাঠাইছিলাম’০৯ মার্চ ২০২৫

গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে রয়েছেন সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, অ্যানেসথেসিয়া, শিশু হৃদ্‌রোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের সার্জন, ইউরোলজি বিভাগ, থোরাসিক সার্জন বিভাগের চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুনমাগুরায় শিশু ধর্ষণ: মধ্যরাতে আদালতে শুনানি, চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর ১০ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরার শিশুটির অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’
  • মাগুরার শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন, আজো ২ বার কার্ডিয়াক
  • আজ আরও দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হলো মাগুরার শিশুটির
  • আজ আরও দুবার হার্টবিট বন্ধ হলো মাগুরার শিশুটির
  • চারবার হার্টবিট বন্ধ, মাগুরার শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন
  • চারবার হার্টবিট বন্ধ, শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন
  • মাগুরার সেই শিশুর অবস্থার অবনতি, সবার কাছে দোয়া চাইলেন প্রেস উইং
  • মাগুরার সেই শিশুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি
  • মাগুরার শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি, দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’