চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে টাইব্রেকারে হেরেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। টাইব্রেকারে অ্যাতলেটিকো দ্বিতীয় শটটি মিস করে। দলটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ শট নিয়ে জালে বল পাঠান। কিন্তু রেফারি ভিএআর-এর সহায়তা নিয়ে নিশ্চিত করেন যে, বলে আলভারেজ দু’বার  স্পর্শ করেছেন।

ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী, পেনাল্টি শটে ডাবল টাচ হলে তা বাতিল হবে। যে কারণে আলভারেজের গোলটি বাতিল করা হয়। আলভারেজ ওই শটটি নিতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান। তবে গোল করে তিনি উদযাপন শুরু করেন। তার সতীর্থরাও উদযাপনে মাতেন। কিন্তু পরেই শটটি ঠিকঠাক আছে কিনা দেখার সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।

ওই সিদ্ধান্ত তাকে নিতে হয় রিয়াল মাদ্রিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে। জানা গেছে, রিয়াল মাদ্রিদের ফ্রান্স তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের প্রথম মনে হয়েছিল, আলভারেজ বলে ডাবল টাচ দিয়েছেন। যে কারণে তিনি চিৎকার করে রেফারিকে সেটি জানান। পরে অন্যরাও তার ডাকে সাড়া দিলে আলভারেজের শট বিশ্লেষণ করে দেখতে হয় রেফারিকে।

সেখানে দেখা যায়, ডানপায়ে আলভারেজ শট নিলেও ভারসাম্য হারানোর কারণে বলে বাঁ-পায়ের সামান্য স্পর্শ লাগে। যে কারণে বাতিল করে দেওয়া হয় তার শট থেকে আসা গোলটি। ম্যাচ শেষে অবশ্য অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের পক্ষ থেকে বিষয়টির সমালোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে অ্যাতলেটিকো কোচ ডিয়াগো সিমিওনে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের একে একে নির্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা কেউ দেখেছেন ডাবল টাচ হয়েছে, আপনি দেখেছেন, আপনি দেখেছেন, আপনি.

..।’

অ্যাতলেটিকো কোচ রেফারির দিকে পক্ষপাতিত্বের ইঙ্গিত করেন এবং তাদের ইচ্ছাকৃত হারানো হয়েছে এমন  অভিযোগ আনেন। পূর্বেও রিয়াল মাদ্রিদ রেফারির সুবিধা পায় এই অভিযোগ একাধিকবার করেছেন সিমিওনে।  ম্যাচ শেষে রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কর্তুয়া জানান, প্রতি ম্যাচ শেষে এভাবে কোচকে অভিযুক্ত করা তত্বে তিনি বিরক্ত।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প ড বল ট চ আলভ র জ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক আজ

দেড় দশক পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।

তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের হিস্যা হিসেবে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ এবং আমনা বালুচ পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়সহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে। 

সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।

বৈঠক উপলক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। গতকাল আমনা বালুচ ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশটির ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে  ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। এর একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসা সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। 

পরিকল্পনা কমিশনের মতে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত আসেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাংকিং বিভাগ থেকেই বাংলাদেশ পাবে প্রায় ৬০ কোটি রুপি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ