মাদারীপুরে দুই ভাইসহ তিনজনকে হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গত মঙ্গলবার রাতে তাদের পৃথক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, র‍্যাব-৮ ও র‍্যাব-৪ যৌথভাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকার আশুলিয়ায় অভিযান চালায়। এ সময় কাঁঠালতলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে তিনজনকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি হোসেন সরদারকে (৬০) গ্রেপ্তার করে তারা। অন্যদিকে মাদারীপুর র‍্যাব ক্যাম্পের একটি দল একই রাতে শরীয়তপুরের পালং থানার আরিগাঁও এলাকা থেকে অপর আসামি সুমন সরদারকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় এর আগে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

র‍্যাব জানায়, চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে র‌্যাব-৮ এর নজরে আসে। তারা আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ মামলার আসামিরা দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে র‍্যাব-৪ এর সহযোগিতায় তারা প্রধান আসামি হোসেন সরদারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। একইভাবে শরীয়তপুরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি সুমন সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হোসেন সরদার নিহত সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদারের চাচা মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরের মৃত আছমত আলী সরদারের ছেলে। গ্রেপ্তার সুমন সরদার সদর উপজেলার বাবনাতলা এলাকার হাছেন সরদারের ছেলে।

গত শনিবার মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাই সাইফুল সরদার (৩৫) ও আতাউর সরদার (৪০) এবং চাচাতো ভাই পলাশ সরদারকে (১৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনজনকে হত্যার ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৮০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। নিহত দুই ভাইয়ের মা সুফিয়া বেগম পরদিন রোববার সকালে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ন সরদ র ত নজনক র সদর

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে তিনজনকে তুলে নিয়ে দফায় দফায় নির্যাতন, একজনের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে এক যুবককে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের রেনউইক চর এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত সুরমান খান (৩৫) রেনউইক চর এলাকার আবুল কালামের ছেলে। সুরমানরা চার ভাই। সবার ছোট আশরাফুল ইসলাম প্রতিবেশী আবদুল হাকিমের বাড়িতে হালিম তৈরির শ্রমিকের কাজ করেন। সুরমান রিকশা চালাতেন। তাঁর স্ত্রীর নাম রূপা খাতুন। তাঁদের এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, প্রতিবেশী আবদুল হাকিম চুরির অভিযোগে সুরমান, আশরাফুল ও তাঁদের এক প্রতিবেশীকে তুলে নিয়ে দফায় দফায় নির্যাতন করেছেন। এতে সুরমান নিহত হয়েছেন।

সুরমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিহত স্ত্রী-ছেলের ছবি দেখলেই হাউমাউ করে কাঁদছেন মামলার আসামি ইয়াছিন
  • কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে তিনজনকে তুলে নিয়ে দফায় দফায় নির্যাতন, একজনের মৃত্যু
  • থানা থেকে ছাত্রদল নেতা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৩