বিকেলে নিখোঁজ, সন্ধ্যায় মাটিচাপা মরদেহ উদ্ধার
Published: 13th, March 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়ায় শাহাদাত মোল্যা (৫) নামে এক শিশুর মরদেহ মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুর দাদি রাবেয়া বেগমকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার নোয়গ্রাম ইউনিয়নের চর শামুকখোলা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাহাদাত উপজেলা নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের চর-শামুকখোলা গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যার ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চর-শামুকখোলা গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যার সঙ্গে প্রথম স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। শাহাদাত দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের পক্ষের ছেলে। সম্প্রতি রাবেয়া বেগমের ২০ হাজার টাকা হারিয়ে যায়। এ নিয়ে শাহাদাত ও তার মায়ের সঙ্গে দাদি রাবেয়ার ঝগড়া হয়। বুধবার বিকেলে শাহাদাত বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সকল জায়গা খুঁজে না পেয়ে মসজিদের মাইকিং নিখোঁজের বিষয়টি প্রচার করা হয়। এর পর ওই গ্রামের এক ব্যক্তি জানায়, সন্ধ্যায় শাহাদাতকে তাদের বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে দাদির সঙ্গে দেখেছেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা পুকুর পাড়ে গিয়ে মাটিতে চাপা দেওয়া অবস্থায় শাহাদাতের মরদেহ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে শাহাদতের মরদেহ উদ্ধারসহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই শিশুর দাদি রাবেয়া বেগমকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানসহ ৩ জনকে হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার
সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানসহ তিনজনকে হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় নিহতদের বাড়িসংলগ্ন একটি পুকুর থেকে বঁটিটি উদ্ধার করা হয়। রিমান্ডে থাকা গ্রেপ্তার ইয়াছিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ইয়াছিনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যায় ব্যবহৃত বঁটির সন্ধান দেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুকুর থেকে সেটি উদ্ধার করা হয়।
এর দুই দিন আগে নিহত ব্যক্তিদের রক্তমাখা কাপড় জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ইয়াছিন একা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজের চার দিন পর গত ১১ এপ্রিল দুপুরে নিজেদের বসবাসরত বাড়ির সামনে বস্তাবন্দী অবস্থায় একই পরিবারের তিনজনের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত সেরাদের মেয়ে স্বপ্না আক্তার (৩৫), তাঁর ছোট বোন লামিয়া আক্তার (২২) ও লামিয়ার ছেলে হাবিব (৩)। এ ঘটনায় পুলিশ লামিয়ার স্বামী ইয়াছিনকে (২৩) আটক করে।
এ ঘটনায় লামিয়া ও স্বপ্নার বোন মুনমুন বাদী হয়ে লামিয়ার স্বামী ইয়াছিন, তাঁর বাবা মো. দুলাল ও বোন মোসা. শিমুকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।