Samakal:
2025-03-13@09:01:37 GMT

ভিসার বিশেষ ক্যাম্পেইন

Published: 13th, March 2025 GMT

ভিসার বিশেষ ক্যাম্পেইন

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল পেমেন্ট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিসা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কার্ডধারীর জন্য বিশেষ ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দিয়েছে। ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশজুড়ে সব ভিসা কার্ডধারী আকর্ষণীয় অফার উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। রমজান, স্বাধীনতা দিবস, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলতে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এ ক্যাম্পেইন আগামী ৩১ মে পর্যন্ত চলবে।

ভিসা জানিয়েছে, ক্যাম্পেইনটিতে ভিসা কার্ডধারীরা অ্যাক্টিভেট অ্যান্ড উইন, ট্যাপ অ্যান্ড উইন ও স্পেন্ড অ্যান্ড উইন– তিনটি ভিন্ন অফারের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। ‘অ্যাক্টিভেট অ্যান্ড উইন’ অফারটি পেতে গ্রাহককে কমপক্ষে ৫০০ টাকার একটি লেনদেন করতে হবে। এর মাধ্যমে ১৫০ টাকার ফুডপ্যান্ডা ভাউচার জেতার সুযোগ রয়েছে। ‘ট্যাপ অ্যান্ড উইন’ অফারটি পেতে ভিসা কার্ডধারীকে কমপক্ষে ১৫টি ‘ট্যাপ অ্যান্ড পে’ লেনদেন (প্রতিটি লেনদেন ৫০০ টাকা বা তার বেশি) সম্পন্ন করতে হবে। সফলভাবে শর্ত পূরণ করলে ৫০০ টাকার ফুডপ্যান্ডা ভাউচার পাওয়া যাবে। ‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ অফারটি পেতে গ্রাহককে ক্যাম্পেইনের সময় যত বেশি সম্ভব লেনদেন করতে হবে। সেখান থেকে শীর্ষ ১০০ খরচকারী পাবেন ১৫ হাজার টাকার ফুডপ্যান্ডা ভাউচার।

এ বিষয়ে ভিসা বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের কার্ডধারীর জন্য প্রতিটি মুহূর্ত আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলতে চাই। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, উৎসব ও ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ বাংলাদেশ। আমরা এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এই আনন্দ কার্ডধারীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চাই। ডিজিটাল লেনদেনকে সহজ ও নিরাপদ করতে আমরা সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এ উৎসবের মুহূর্তে বিশেষ অফার আনতে পেরে আমরাও উচ্ছ্বসিত। ফুডপ্যান্ডার সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা এই আনন্দকে আরও ছড়িয়ে দিতে চাই। রমজানের শপিং থেকে শুরু করে ঈদের প্রস্তুতি হোক বা পহেলা বৈশাখ উদযাপন– ভিসা প্রতিটি উৎসবকে আনন্দদায়ক করে তুলতে আপনাদের পাশে আছে।’

ভিসা আরও জানিয়েছে, নতুন এই ক্যাম্পেইন আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ক্যাশলেস লেনদেন ও নির্বিঘ্ন পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রতি ভিসার প্রতিশ্রুতিই পুনর্ব্যক্ত করে, যা ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক য ম প ইন র অ য ন ড উইন ল নদ ন আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণে বড় পরিবর্তন

সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণ নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা ২০২৫’ এবং ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাতে এসব পরিবর্তনের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। 

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, লেখক ও চিত্রনাট্যকারদের সম্মানি বেড়েছে। গল্প লেখককে ২ লাখ এবং চিত্রনাট্যকারকে ৩ লাখ টাকা উৎসাহ পুরস্কার দেওয়া হবে। আগে গল্প লেখক ও চিত্রনাট্যকারকে দেওয়া হতো ৫০ হাজার টাকা করে।

এ ছাড়া পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য— দুই বিভাগেই নির্মাতা/ পরিচালকের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবকারী পরিচালককে পূর্বনির্মিত কমপক্ষে একটি চলচ্চিত্র অথবা নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক চলচ্চিত্রে তার ভূমিকা থাকতে হবে।

আরো পড়ুন:

আমাকে নিয়ে বলিউডে ষড়যন্ত্র হয়েছে: গোবিন্দ

রুনা খানের বাবা মারা গেছেন

অন্যদিকে, আগের নীতিমালায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে সময় বেঁধে দেওয়া হতো ৯ মাস। কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাতারা বহুবার অভিযোগ করেছেন যে, সেই নির্ধারিত সময় পর্যাপ্ত নয়, যার ফলে নির্মাণে দেরি হয়।

এখন অনুদানের প্রথম চেক পাওয়ার পর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই সময় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ মাস। সময় বেড়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও। স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণে ১২ মাস এবং প্রামাণ্যচিত্রের জন্য ২৪ মাস সময় পাবেন নির্মাতারা। তবে যৌক্তিক বিবেচনায় পূর্ণদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে ছয় মাস ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে তিন মাস করে সর্বোচ্চ দুবার সময় বাড়ানো যাবে।

নতুন নীতিমালায় অর্থ প্রদানের নিয়মেও পরিবর্তন এসেছে। এখন প্রথম কিস্তি হিসেবে দেওয়া হবে অনুদানের ২০ শতাংশ। এই অর্থ প্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে শুটিং শিডিউল, প্রোডাকশন প্ল্যান, লোকেশন ব্যবহারের অনুমতি, শিল্পীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র সম্পাদনাসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি জমা দিতে হবে। চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি সন্তুষ্ট হলে অনুদানের ৫০ শতাংশ অর্থ দেওয়া হবে। অনুদানের সিনেমার পারিশ্রমিক নিয়ে অনেক শিল্পী অভিযোগ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চিত্রায়িত অংশের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ রাফকাট, শিল্পীদের সম্মানি প্রাপ্তির প্রমাণপত্র দেখানোর পর মিলবে আরো ২০ শতাংশ অর্থ। সিনেমা মুক্তির পর মিলবে বাকি ১০ শতাংশ অর্থ।

এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য চলচ্চিত্রে অনুদানের জন্য চিত্রনাট্য আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। অনুদান পেতে আগ্রহীদের চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ৭ এপ্রিল বিকেল ৪টার মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।

এদিকে, প্রতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগের নীতিমালায় এই সংখ্যা ছিল ১০। এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে এখন থেকে প্রতিবছর ১০টির পরিবর্তে অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে ২০টি চলচ্চিত্র।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কঙ্গোয় নৌকাডুবিতে নিহত অন্তত ২৫
  • সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণে বড় পরিবর্তন