গাছের জীবন আছে। তারা কথা বলতে পারে না। গাছে পেরেক লাগালে ছাল এবং ভেতরের কোষকলা নষ্ট হয়ে পানি ও পুষ্টি পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটে। এতে গাছের ফল ও কাঠ উৎপাদন কমে যায়।
পেরেক লাগালে গাছের গায়ে ক্ষত তৈরি হয়ে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও পোকামাকড়ের সংক্রমণ ঘটে। এতে গাছের মৃত্যু হতে পারে। তাই পেরেক অপসারণ করে গাছের সুরক্ষায় মাসব্যাপী অভিযান শুরু করেছে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। গতকাল বুধবার থেকে দেশের ২০টি জেলায় এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
শেরপুর ডিসি উদ্যানে বুধবার পেরেক অপসারণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। পরে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো হামাস
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাস জানিয়েছে, অবিলম্বে তারা এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত যেখানে যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে বাকি সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
এক ভিডিও বিবৃতিতে হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, “আমরা (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক এজেন্ডা পূরণের আংশিক চুক্তি গ্রহণ করব না।”
হামাসের কাছে এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাবে ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
খলিল আল-হায়া বলেছেন, “সব বন্দিকে বলি দিয়ে হলেও নির্মূল ও অনাহারের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে নেতানিয়াহু এবং তার সরকার তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার আবরণ হিসেবে আংশিক চুক্তিকে ব্যবহার করে।”
তিনি আরো বলেন, হামাস ‘ইসরায়েলের হাতে বন্দি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনির বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত’ এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রস্তুত।
হামাস এর আগে জানিয়েছিল, তারা যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি সামগ্রিক চুক্তির কথা বিবেচনা করবে।
হামাসের এই ঘোষণার পর অতিডানপন্থী ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানিয়েছেন, হামাসের উপর ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়ার’ সময় এসেছে।
ঢাকা/শাহেদ