এক দিকে মোগল সেনা, অন্যদিকে পারিবারিক বিদ্রোহ
Published: 13th, March 2025 GMT
মারাঠা সাম্রাজ্যের কথা উঠলেই ‘বাজিরাও-মাস্তানি’র কথা মনে পড়ে। সঞ্জয়লীলা বানসালির এই আলোচিত সিনেমা বাজিরাও আর মাস্তানির প্রেমকাহিনিকে ঘিরে বানানো হলেও এতে মারাঠা রাজ্যের একটা চিত্র পাওয়া যায়।
একনজরেসিনেমা: ‘ছাবা’
জনরা: ঐতিহাসিক ড্রামা
রানটাইম: ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট
পরিচালক: লক্ষ্মণ উতেকর
অভিনয়: ভিকি কৌশল, রাশমিকা মান্দানা, অক্ষয় খান্না, ডায়ানা পেন্টি, আশুতোষ রানা, বিনীত কুমার সিং
তবে সম্প্রতি আলোচনায় মারাঠাদের এক বিস্মৃতপ্রায় রাজা। ‘ছাবা’ সিনেমায় দেখানো হয়েছে সাম্ভাজি মহারাজের কাহিনি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর থেকেই লক্ষ্মণ উতেকরের ‘ছাবা’ বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। মুক্তির ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও সিনেমাটিকে ঘিরে এখনো দর্শকদের রয়েছে তুমুল আগ্রহ। এখন পর্যন্ত সিনেমাটি ৫২৫ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে সিনেমাটি ৬০০ কোটি রুপির বেশি আয় করবে।
‘ছাবা’ সিনেমা মারাঠা সম্রাট শিবাজি মহারাজের ছেলে সাম্ভাজিকে ঘিরে। আর সাম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ভিকি কৌশল। খুব বেশি বাজেটের সিনেমায় কখনো ভিকিকে আগে দেখা যায়নি। এদিক থেকে বলা যায়, লক্ষ্মণ উতেকর একপ্রকার বাজি ধরেছেন ভিকির ওপর। আর সে বাজি মাত করে দিয়েছেন ভিকি। সিনেমার নির্মাণ নিয়ে অনেক খুঁত ধরার অবকাশ থাকলেও ভিকি একদম নিখুঁত। বলা যায়, তাঁর অভিনয় দেখার জন্য এ সিনেমা দেখা সার্থক!
‘ছাবা’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা চাইলেন প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবস করানো সেই ব্যবসায়ী নেতা
রমজান মাসে দিনের বেলা হোটেলে খাবার খাওয়ায় কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের চকবাজার এলাকার বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজ। ভুক্তভোগী দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে সদর থানা এলাকায় এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চান তিনি।
ভিডিও বার্তায় আব্দুল আজিজ বলেন, ‘কয়েকজন হোটেলে খাবারের জন্য ঢুকেছেন। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় তাৎক্ষণিক আমি গিয়ে উনাদের বলেছি, আপনারা কেন খাচ্ছেন। আপনারা তো মুসলমান। সেক্ষেত্রে তারা বলেছেন, রোজা রাখেননি। আমি বলেছি, আপনারা রোজা রাখবেন। আমি আসলে যে কাজটি করেছি, এটি অন্যায়, অপরাধ। এটা ধর্মীয় অনুভূতি, সেজন্য এটা আমার করা ঠিক হয়নি। এজন্য আমি উনাদের কাছে ক্ষমা চাই। উনারা যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন। আমি এ ধরনের পুনরাবৃত্তি আর কখনও করব না। এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত হব না।’
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ‘আবদুল আজিজকে থানায় ডেকে আনা হয়। তবে ভুক্তভোগী কেউ তার বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ দেননি। এছাড়া আব্দুল আজিজ এ ঘটনায় নিজেও ক্ষমা চেয়েছেন। কোন অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় বুধবার রাতে সদর থানায় তাকে বেশ কিছুক্ষণ আটক রাখা হয়। আবদুল আজিজ জানিয়েছেন, তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। পরে কয়েকজন ব্যবসায়ীর অনুরোধে রাত ১২টার দিকে মুচলেকা নিয়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুচলেকায় লেখা আছে- পুলিশ যেকোনো সময় তাকে থানায় হাজির হতে বললে তিনি হাজির হবেন। এছাড়া দেশের আইন মেনে চলবেন। এমন শর্তে তার জামিন হয় বলে ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানান।
বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের থানা রোড এলাকায় হিন্দুদের কয়েকটি পর্দা লাগানো খাবার হোটেলে লাঠি হাতে বণিক সমিতি নেতা আজিজকে অভিযান চালাতে দেখা যায়। ওই সময় তিনি কয়েকজন যুবকসহ এক বৃদ্ধকে হোটেল থেকে বের করে রাস্তায় এনে প্রকাশ্যে কানে ধরে উঠবস করতে বাধ্য করেন। সেই সঙ্গে দিনের বেলায় মুসলিম কেউ দোকানে খেলে সে দোকান পুরো রমজান মাস বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনাটির কিছু ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় অনেক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে শুরু হয় নানা সমালোচনা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ব্যক্তিরা বলেন, ‘আমরা প্রকাশ্যে খাবার খাইনি। পর্দার আড়ালে খাবার খেয়েছি। দোষের কি? এ জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব। তাই বলে প্রকাশ্যে কান ধরে এভাবে সাজা দিল ভাবতে পারিনি। ওনি প্রশাসনের লোক ছিলেন না।’
এ ঘটনা স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ইতিবাচক হিসেবে নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। তারা বলেন, এমনিতে বেচাকেনা কম, তার উপর ক্রেতাদের সঙ্গে এমন আচরণ। এতে বেচাকেনা কমে গেছে।