বগুড়ার ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস মিমের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার থেকে তদন্ত শুরু করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ।

২০২৩ সালে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তফিজ উদ্দিন বিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেন। বিজ্ঞপ্তি দেখে ধুনট পৌর এলাকার পশ্চিম ভরনশাহী গ্রামের হাবিবা সুলতানা আবেদন করেছিলেন। সকল যোগ্যতা থাকার পরেও তাঁর ভাগ্যে চাকরি জোটেনি।

হাবিবার অভিযোগ, জান্নাতুল ফেরদৌস মিম এইচএসসি পাস। বিএসসির (অনার্স) ভুয়া সনদ জমা দিয়ে চাকরি নিয়েছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার থেকে বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ তদন্ত শুরু করেছেন।
 শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসী মিম বলেন, ‘শত্রুতা করে  মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’ 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুই মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস মিমের নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। তিনি সরেজমিনে বিদ্যালয়ে এসে নিয়োগসংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে গেছেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ বলেন, শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌসের নিয়োগসংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করা হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের লোকসভায় অবৈধ অভিবাসনবিরোধী বিল উত্থাপন

ভারতের লোকসভায় অভিবাসন ও বিদেশি বিল-২০২৫ উত্থাপন করল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার উত্থাপিত এই বিলে জাতীয় নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টির জন্য কঠোর শাস্তি আরোপ করার কথা বলা হয়েছে। অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৫ লাখ রুপি অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

বিলে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতের অখণ্ডতার জন্য হুমকিস্বরূপ কোনো বিদেশিকে প্রবেশ বা থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা ইমিগ্রেশন অফিসারদের থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের মতো প্রতিষ্ঠানে থাকা বিদেশি নাগরিকদের তথ্য অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

প্রস্তাবিত এই বিল লঙ্ঘনে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করে বলা হয়েছে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ রুপি অর্থদণ্ড করা হবে। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করলে দুই থেকে সাত বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে এক থেকে ১০ লাখ রুপি অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া, ভারতীয় ভিসার শর্ত লঙ্ঘন বা অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করলে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ রুপি জরিমানা করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের লোকসভায় অবৈধ অভিবাসনবিরোধী বিল উত্থাপন