রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এতে ১৪ ডাকাত, ১২ পেশাদার ছিনতাইকারী, তিনজন চাঁদাবাজ, ১২ চোর, ৯ মাদক কারবারি, ৩১ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ ১৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারদের নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৫৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ডিএমপিসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে সমন্বিত চেকপোস্টের পাশাপাশি টহল বাড়িয়েছে।
গত সোমবার রাত থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীজুড়ে টহলে ছিল ডিএমপির ৬৬৭টি দল। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৭১টি পুলিশি চেকপোস্টসহ সিটিটিসি, এটিইউ, এপিবিএন ও র্যাবের টহল দল দায়িত্ব পালন করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
নিপীড়নের ঘটনাগুলোতে সাত দিনের মধ্যে শক্ত অবস্থান নেওয়ার দাবি ঢাবি সাদা দলের
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, নারীর প্রতি অবমাননা বন্ধ এবং ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
মানববন্ধনে শিক্ষকেরা বলেন, পলাতক শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছেন। নিপীড়নের ঘটনাগুলোতে সাত দিনের মধ্যে শক্তভাবে অবস্থান নেওয়ার দাবিও জানান তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে তাঁরা এ মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে যুগে যুগে। কখনোই আমরা এটি থেকে বের হতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে যখন হেনস্তা হতে হয় কর্মচারী দ্বারা এবং সেই হেনস্তাকেও কেউ কেউ আবার সমর্থন দেয়, তখন লজ্জায় আমাদের মাথা নত হয়ে যায়। আমরা প্রশাসনকে বলব, এমন প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বলেন, শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
ধর্ষণ ও নারীদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাগুলোতে সাত দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইজিপিকে শক্তভাবে অবস্থান নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইজিপি, আপনাদের সাত দিন সময় দিচ্ছি। এই সাত দিনের মধ্যে শক্তভাবে অবস্থান নিন। না হলে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসব। আমরা রাজপথে নেমে আসব। আমাদের এ প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কলা অনুষদের ডিন ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবনতির কারণে ছিনতাই, রাহাজানি, হত্যাকাণ্ড এবং সর্বোপরি নারীদের হেনস্তা, অনিরাপত্তা ও ধর্ষণের ঘটছে। পলাতক শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানাভাবে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছেন। অডিও কলের মাধ্যমে তাঁদের নেতা–কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবনতিসহ এ দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছেন উসকানি দিয়ে।
কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবা সুলতানা মাগুরার ভয়াবহ ঘটনা গুরুত্বসহকারে দেখতে আহ্বান জানিয়েছেন।