Samakal:
2025-03-13@08:59:06 GMT

কড়াই বিলে ৫০০ গাছ কাটার উদ্যোগ

Published: 13th, March 2025 GMT

কড়াই বিলে ৫০০ গাছ কাটার উদ্যোগ

দিনাজপুরের কড়াই বিল পর্যটন এলাকা। শীতকালে পরিযায়ী পাখি আসে। বিলের ৫০০ গাছ কাটার উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সমিতি। গত সপ্তাহে অর্ধেক গাছ কাটা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর বাধার মুখে গত সোমবার বিকেলে প্রশাসন গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছে।

গাছ ক্রেতা জোবায়দুর রহমান জানান, শ-চারেক আম, দুটি কাঁঠাল ও তিনটি বেল গাছ রয়েছে। এখানে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিস আছে। দরপত্র হয়েছে। ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিয়েছেন। ২০০ গাছ কেটেছেন।

বিরল থানা মুক্তিযোদ্ধা হাঁস-মুরগি ও পশু পালন খামার সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মকসেদ আলী মঙ্গলীয়া জানান, সরকারি খাস জমি। এ নিয়ে মামলা হয়েছে এবং রায় সমিতির পক্ষে রয়েছে। ১৯৭৫ সাল থেকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তারা চালাচ্ছেন। এখানে মুক্তিযোদ্ধারা সদস্য। এই গাছগুলো তাদের লাগানো। এগুলো আম্রপালি ও মল্লিকা জাতের আম গাছ। ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে ফল ধরে না। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এগুলো কেটে লিচু বাগান করবেন।

এলাকার মিজান হোসেন বলেন, এখানে গরমের সময় আসি। বাতাস পাওয়া যায়।

আকাশ ইসলাম বলেন, এই গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে এখন ছায়া থাকবে না।

কৃষক ফয়েজ উদ্দিন বলেন, আমরা ক্ষেতে কাজ করতে আসি। রোদ লাগলে ছায়ায় গা জুড়াই।

কৃষক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘গাছতলায় এসে জিরাইতাম। কে এই গাছগুলো কাটার অনুমতি দিল?’

স্থানীয় শিক্ষার্থী আলী আহসান আল মুজাহিদ বলেন, ‘সোমবার ঘুরতে এসে গাছ কাটা দেখতে পাই। উপজেলা প্রশাসনকে জানাই। এসি ল্যান্ড (সহকারী কমিশনার ভূমি) এ বিষয়ে জানেন না। বন বিভাগও জানে না। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা এখানে এসে গাছ কাটার কাগজপত্র দেখতে চান। এই কাগজের কোনো মূল্য নেই জানিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন।’

শিক্ষার্থী মহসীন কবির রাব্বি বলেন, ‘এটি দর্শনীয় স্থান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসেন। আম গাছে মুকুল এসেছে, এ সময়ে গাছ কাটা কতটুকু যৌক্তিক, তা আমার বোধগম্য নয়। তদন্ত করে বিচার করতে হবে।’

বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘বন বিভাগের কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে মালপত্র জব্দ করা হয়েছে। যারা গাছ কেটেছে, তাদের ডেকে কথা বলেছি। তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। কারণ গাছগুলো ১ নম্বর খাস খতিয়ানের। অনুমতি ছাড়া সরকারি সম্পদ নষ্ট করায় আমরা মামলা করব।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের ছবির নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের এই মডেল

বাংলাদেশের একটি ছবিতে নায়িকা হিসেবে থাকছেন পাকিস্তানের মডেল ও অভিনেত্রী জারা আহমেদ। ‘ফোর্স’ নামের একটি  সিনেমায় সম্প্রতি জারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ছবিটির পরিচালক আসিফ ইকবাল জুয়েল। তিনি জানান, জারা আহমেদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। এ সিনেমায় পাকিস্তানের এই মডেলকে পুলিশের চরিত্রে দেখা যাবে। এক নারীর প্রতিশোধের গল্প ঘিরে এই সিনেমা।

 সিনেমায় পাকিস্তানের মডেলকে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে এ তরুণ নির্মাতা জানান  ‘পুলিশ চরিত্রের জন্য আমরা অনেক দিন ধরে নারী অভিনয়শিল্পী খুঁজছিলাম। আমাদের চাওয়া ছিল, নিয়মিত জিম করেন, এমন একজন অভিনয়শিল্পী, যিনি মারপিট করতে পারবেন, যাঁকে দেখতে পরিশ্রমী মনে হবে, মুখটা হতে হবে লম্বাটে, চোয়াল কিছুটা ভাঙা—মোটকথা, যে মেয়েটাকে অ্যাকশনে মানায়। অনেক খোঁজার পর আমরা পাকিস্তানের মডেলকে পছন্দ করেছি।’

কীভাবে খোঁজ পেলেন এই মডেলের, এ প্রসঙ্গে পরিচালক জানান, সিরিয়ালে জারার অভিনয় দেখে পছন্দ হয় তাঁর। পরে তিনি ‘ফোর্স’ সিনেমার ৩০ সেকেন্ডের একটি লুক এই মডেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন। নির্মাতার ভাষ্যে, ‘আমাদের অ্যাকশন লুক দেখেই পাকিস্তানের মডেল অবাক হয়ে যান। পরে তাঁকে সিনেমার চিত্রনাট্যসহ পুরো পরিকল্পনা পাঠাই। তিনি দেখে পছন্দ করেছেন। ব্যাটে–বলে মিলে যাওয়ায় আমরা কাজটি করছি।’

আসিফ জানান, বর্তমানে সিনেমাটির প্রি–প্রোডাকশনের কাজ চলছে। আগামী ১০ এপ্রিল এফডিসিতে শুটিং শুরু করবেন। এফডিসি ছাড়াও কেরানীগঞ্জ, গাজীপুরে শুটিং করবেন এই তরুণ নায়িকা। প্রায় দুই সপ্তাহ 

পরিচালক আসিফ এর আগে ‘চোখ’ সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। এদিকে পাকিস্তানি এই মডেল ‘ছু লে আসমান’ নামে একটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। মডেলিংয়ে বেশি দেখা গেলেও এর আগে ‘হাম কাহা কে সোচে থে’, ‘খুদসার’সহ একাধিক টিভি সিরিজে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন। ‘ফোর্স’ সিনেমায় জারার নায়ক হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশের ম্যাক দিদার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ