রাজধানীর কলাবাগান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের শাহবাগ থানা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামালের (৪৩) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এছাড়া, ধানমন্ডি থানার পৃথক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিশীতা ইকবাল নদীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক তারেক মোহাম্মদ মাসুম আসামি মোস্তফা কামালের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন পান্থপথের আল বারাকা রেস্টুরেন্টের সামনে পাকা রাস্তার ওপর এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০০-১৫০ জন আসামি একত্রে সমবেত হয়ে ছাত্রলীগের ব্যানার ব্যবহার করে জনসম্মুখে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশে মিছিল বের করেন। আসামিরা মিছিল থেকে বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান দেন।

অপরদিকে, গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে নদীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ঢাকা/মামুন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার যাবে না: হাইকোর্ট

এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ তাঁদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ‘ডিএমএফ’ ডিগ্রিধারীদের (ডিপ্লোমাধারী হিসেবে নিবন্ধিত) ক্ষেত্রে যথাযথ প্রিফিক্স (নামের আগে ব্যবহার করা সন্মানসূচক শব্দ) নির্ধারনে ছয় মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন। পৃথক রিটের ওপর একসঙ্গে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে আদালত আজ রায়ের জন্য দিন রাখেন।

রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ তাঁদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। আজ পর্যন্ত যারা ব্যবহার করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে মামলা হবে না। কেননা রিটের পরিপ্রক্ষিতে ‘ডিএমএফ’ ধারীদের বিরুদ্ধে মামলা বা কার্যধারা গ্রহন করার নির্দেশনা ছিল। এতদিন মামলা (রিট) চলছিল। তবে কাল থেকে তারা নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না। ব্যবহার করলে আইন অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’

এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন হয়। ‘ডিএমএফ’ ডিগ্রিধারীদের (ডিপ্লোমাধারী হিসেবে নিবন্ধিত) ক্ষেত্রে আইনটির বৈষম্যমূলক প্রয়োগের অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন আহ্বায়ক শামসুল হুদাসহ অন্যরা ২০১৩ সালে একটি রিট করেন। ওই আইনের ২৯ ধারার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিশনের সভাপতি ও সেক্রেটারি গত বছর অপর রিটটি করেন।

প্রথম রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ১১ মার্চ হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। দ্বিতীয় রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে আইনের ২৯ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়। প্রথম রুল (ডিসচার্জ) খারিজ ঘোষণা এবং দ্বিতীয় রিটটি নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেন আদালত।

আরও পড়ুনইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে বর্হিবিভাগ বন্ধ১ ঘণ্টা আগে

আদালতে দ্বিতীয় রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন শুনানি করেন। প্রথম রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. সাইদুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম শুনানি করেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম শুনানি করেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ২৯ (১) ধারার ভাষ্য, এই আইনের অধীন নিবন্ধন করা কোনো মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এমন কোনো নাম, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক এমনভাবে ব্যবহার বা প্রকাশ করবেন না, যার ফলে তার কোনো অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতা আছে বলে কেউ মনে করতে পারে, যদি না তা কোন স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা হয়ে থাকে। ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্তরা ব্যতীত অন্য কেউ তাঁদের নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। ২৯(২) ধারার ভাষ্য, কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে তা হবে একটি অপরাধ এবং সে জন্য তিনি ৩ (তিন) বছর কারাদণ্ড বা ১ (এক) লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং ওই অপরাধ অব্যাহত থাকলে প্রতিবার এর পুনরাবৃত্তির জন্য অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বর্ণিত দণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে, দণ্ডনীয় হবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৩৯ বিডিআর সদস্যের জামিন শুনানি শেষ, আদেশ অপেক্ষমাণ
  • প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাবেন ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা 
  • সোনারগাঁয়ে আইনজীবীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ
  • জামিন পেলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার
  • থাকছে না ‘রিসিভার’, বেক্সিমকো গ্রুপ চলবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়
  • ডা. বাসেত বাদ, জামায়াতের নতুন প্রার্থী নিজামীপুত্র ব্যারিস্টার মোমেন
  • বেক্সিমকো চলবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়, থাকছে না রিসিভার
  • তাঁরা হাত উঁচিয়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য দিতে চান, এ জন্য দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া
  • এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার যাবে না: হাইকোর্ট