Prothomalo:
2025-04-12@16:37:32 GMT

রমজানের মাঝের ১০ দিনে করণীয়

Published: 13th, March 2025 GMT

রমজান মাসের মাঝের ১০ দিন মাগফিরাত বা ক্ষমার। হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সওয়াব বা প্রতিদান পাওয়ার নিয়তে রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ পড়বে, তার বিগত জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ হাদিসে আরও আছে, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সওয়াব বা প্রতিদান পাওয়ার নিয়তে রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে (রাত জেগে) ইবাদত করবে, তার বিগত জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.

) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সব মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় দানশীল। রমজানে জিবরাইল (আ.) যখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন, তখন তিনি দান করতেন। রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতেই জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ করতেন। বিশ্বনবী (সা.) তাঁকে কোরআন শোনাতেন। (বুখারি)

আরও পড়ুনরোজার পুরস্কার আল্লাহ নিজে দেবেন১৮ মার্চ ২০২৪

মাগফিরাতের ১০ দিনে করণীয়

এই ১০ দিন করণীয় হবে আল্লাহর ক্ষমাসংক্রান্ত নামগুলো জেনে মুখস্থ করা। নামের বৈশিষ্ট্য জেনে আত্মস্থ করার চেষ্টা করতে হবে।

আল্লাহর ক্ষমাসুলভ নামগুলো হলো:

আল গফিরু (ক্ষমাশীল), আল গফুরু (ক্ষমাময়), আল গফফারু (সর্বাধিক ক্ষমাকারী), আল আফুউ (মার্জনাকারী), আল খফিদু (বিনয় পছন্দকারী), আশ শাকুরু (কৃতজ্ঞ), আল বাররু (সদাচারী), আল হালিমু (সহিষ্ণু), আস সবুরু (ধৈর্যশীল), আত তাউওয়াবু (তওবা কবুলকারী) ইত্যাদি।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, অপরাধ স্বীকারকারী নিরপরাধ ব্যক্তির মতো। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)।

রমজানের দ্বিতীয় ১০ দিন বা মাগফিরাতের ১০ দিন করণীয় হলো সর্বোচ্চ ক্ষমা প্রদর্শন করা। মহানবী (সা.) আরও বলেছেন, ‘সকল মানুষ ভুলকারী; আর ভুলকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো যারা তওবাকারী। (বায়হাকি)।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘তুমি ক্ষমা করো; তোমাকেও ক্ষমা করা হবে।’ (তিরমিজি)

আরও পড়ুনএক শ বছর পর জীবিত১৮ মার্চ ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ১০ দ ন রমজ ন করণ য়

এছাড়াও পড়ুন:

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট ১৭ ঘণ্টা পর চালু

কারিগরি ত্রুটির কারণে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় শুক্রবার রাতে। এর ১৭ ঘণ্টা পর শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় একটি ইউনিট থেকে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি।

পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “ঘাটতি মেটাতে আজ দিনের বেলায় তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাড়তি উৎপাদন করা হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর। তবে সন্ধ্যায় আদানির প্রথম ইউনিট উৎপাদনে ফেরা পিডিবির জন্য স্বস্তিদায়ক।”

আরো পড়ুন:

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র: প্রথম ইউনিটের হাইড্রোলিক প্রেসার টেস্ট সম্পন্ন 

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র: রাশিয়া থেকে আসছে ৫০ টন ক্ষমতার ক্রেন

আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে। ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে পিডিবি।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ