দিনের বেলা হোটেলে খাওয়ায় শাস্তি কান ধরে উঠবস
Published: 13th, March 2025 GMT
রমজান মাসে দিনের বেলা খাবার হোটেলে খাওয়ায় শাস্তি হিসেবে লক্ষ্মীপুরে কয়েকজন ব্যক্তিকে কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দিনের বেলায় মুসলিমরা যাতে কোনো দোকানে খাওয়া-দাওয়া করলে সে দোকান পুরো রমজান মাস বন্ধ থাকবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে পৌরশহরের চকবাজার এলাকায় বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজের নেতৃত্বে দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কয়েকটি সনাতন ধর্মালম্বীর দোকানে কয়েকজন মুসলিমকে খাবার খেতে দেখা যায়। তখন শাস্তি হিসেবে চারজনকে কান ধরে উঠবস করানো হয়। সেই সঙ্গে দিনের বেলায় মুসলিম কেউ দোকানে খেলে সে দোকান পুরো রমজান মাস বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ব্যক্তিরা বলেন, ‘আমরা প্রকাশ্যে খাবার খাইনি। পর্দার আড়ালে খাবার খেয়েছি। দোষের কি? এ জন্য আল্লাহ-র কাছে ক্ষমা চাইব। তাই বলে প্রকাশ্যে কান ধরে এভাবে সাজা দিল ভাবতে পারিনি। ওনি প্রশাসনের লোক ছিলেন না।’
এ ঘটনা স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ইতিবাচক হিসেবে নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। তারা বলেন, এমনিতে বেচাকেনা কম, তার উপর ক্রেতাদের সঙ্গে এমন আচরণ। এতে বেচাকেনা কমে গেছে।
এ ব্যাপারে বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, ‘অনেক সনাতন ধর্মালম্বীর দোকানে পর্দা দিয়ে রোজা না রেখে মুসলমানরা খাচ্ছে। রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখতে তাদের দোকানগুলোতে যেন মুসলমান কেউ না খেতে সেজন্য পারে আমরা এ অভিযান পরিচালনা করেছি।’
তবে সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য কোনো বাঁধা নেই বলে মন্তব্য করেন বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দিনে পানাহার করায় কান ধরিয়ে উঠবস, দোকান বন্ধের হুশিয়ারি
পবিত্র মাহে রমজানে দিনের বেলা খাবার হোটেলে গিয়ে পানাহার করায় চার ব্যক্তিকে কান ধরে উঠবোস করানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দিনের বেলায় মুসলিম কেউ দোকানে আহার করলে দোকানটি পুরো রমজান মাস বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের চকবাজার এলাকায় বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজের নেতৃত্বে দোকান গুলোতে অভিযান চালানো হয়।
এতে কয়েকটি হিন্দু দোকানে কিছু মুসলিমকে পানাহার করতে দেখা যায়। শাস্তি হিসেবে কানে ধরে ওঠবস করানো হয় গ্রাহকদের।
বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, “অনেক হিন্দু দোকানে পর্দা দিয়ে রোজা না রেখে কিছু মুসলমান পানাহার করে। পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখতে হিন্দু দোকানগুলোতে যেনো মুসলমান কেউ না আহার করতে পারে আমরা সতর্কতার জন্য এ অভিযান পরিচালনা করেছি। তবে হিন্দুদের জন্য কোনো বাধা নেই।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/এস