নখের যেকোনো অস্বাভাবিক রঙই অসুস্থতার জানান দেয়। অনেক সময় নখে আড়াআড়ি ও লম্বালম্বি দাগ দেখা যায়। নখ দেখতে অনেকটা দুর্বল মনে হয়। চিকিৎসকেরা বলেন, ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে নখ দুর্বল, কালো, এবড়োখেবড়ো এবং কুঁকড়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নখের সুস্থতার জন্য প্রভাব রাখে বিভিন্ন ধরনের মাল্টি ভিটামিন ও বায়োটিন। এছাড়া নখের গঠনে প্রোটিনের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না থাকলে, শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে অ্যানিমিয়া দেখা দেয় এবং নখের স্বাভাবিক গোলাপি ভাব কমে যায়, নখ পাতলা হয়ে যায়। আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে নখ পাতলা ও ভঙ্গুর হয়ে যেতে থাকে।
নখে যেসব লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে:
১.
আরো পড়ুন:
যে অভ্যাসগুলো আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে
সংসার শুধু রমণীর গুণে সুখের হয় না, পুরুষকেও মানতে হবে ৫ নিয়ম
২. বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ, ধূমপান, ডায়াবেটিস কিংবা ফুসফুসের রোগ হলে নখ হলুদ হয়ে যেতে পারে।
৩. নখে সাদা সাদা দাগ ভেসে উঠলে বুঝতে হবে শরীরে জিঙ্ক অথবা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
৪. নখ ফ্যাকাশে হয়ে গেলে সতর্কতা অবলম্বণ করা জরুরি এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ ফ্যাকাশে নখ লিভারের রোগের জানান দেয়।
৫. নখ নীল হয়ে গেলে বুঝতে হবে রক্তে পুরোমাত্রায় অক্সিজেন প্রবাহ নেই। এ ছাড়া ফুসফুসের রোগ এবং হৃদরোগেরও জানান দেয় নীল নখ।
৬. নখের রং কালো হয়ে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি। কারণ এই রং ত্বকের ক্যান্সারের ইঙ্গিত দেয়।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন সবাই
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।
আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচনে অংশ নিতে তারা ফরম নিতে পারেননি। ফরম নিতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান তারা।
গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ছিল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলো পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার না রাখার কথা ভাবছে ইসি
বাপ ডাইক্কা নির্বাচন দেওন লাগব, বললেন বিএনপির ফজলুর রহমান
মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট তারিক আহমদ জানান, ২১টি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে সবগুলোই উৎরে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
মনোননয়ন জমা দেওয়া ২১টি পদের মধ্যে ১৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মো. সিরু, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন এবং সদস্য আহসান উল্লাহ, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, মেজবাহ উল আলম, রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, রাহিলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।
সাতটি পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং সদস্য শাহেদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী আইনজীবী মো. আবদুর রশীদ লোকমান বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা ফরম নিতে পারিনি। দুপুর ও বিকেলে আমরা দুই দফায় সমিতির লাইব্রেরি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছি।”
বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, “আমরা ২১ জন ফরম নিয়েছি। অন্যরা ফরম না নিলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তাদের সৎ সাহস নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-জনতার ওপর লাঠি নিয়ে হামলা করেছিল, তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ