স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
Published: 13th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে এক যুবক খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আইয়ুব নবী সাগর (২৬) বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পরিবার নিয়ে আকমল আলী রোড এলাকায় থাকতেন। পেশায় রেস্তোরাঁ কর্মী।
পুলিশ বলছে, বন্ধুর হাতে খুন হয়েছেন তিনি। স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটায় মো.
পুলিশ জানায়, নিহত আইয়ুব নবী, গ্রেপ্তার সিজান ও পলাতক সাইমন তিন বন্ধু। তাদের মধ্যে আইয়ুবের সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন সাইমন। এতে তাদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এর জেরে সাইমন ও সিজান মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় আইয়ুব নবীর দ্বিতীয় স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় লোকজন বালুর মাঠ থেকে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার মৃত্যু হলে পুলিশ লাশ হেফাজতে নেয়। রাতে পরিবারের সদস্যরা আইয়ুব নবীর লাশ শনাক্ত করেন। আইয়ুবের সঙ্গে সাইমন নামে তার এক বন্ধুর স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি। সাইমনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
আইয়ুব নবীর বড় ভাই আহম্মদ নবী জানান, আইয়ুব নবী রেস্তোরাঁয় গ্রিল কারিগর হিসেবে বাবুর্চির কাজ করতেন। তার দুই স্ত্রী। উভয় সংসারে একটি করে দুটি ছেলে সন্তান আছে। আইয়ুবের সঙ্গে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় বাবুর্চির কাজ করতেন সাইমন। আকমল আলী রোডে তারা পাশাপাশি বাসায় থাকতেন। তারা দুজন ভালো বন্ধু ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমি খবর পাই, আমার ভাইকে আকমল আলী রোডে বালুর মাঠে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাই ও সাইমন 0আপন ভাইয়ের মতো ছিল। সাইমন কীভাবে আমার ভাইকে হত্যা করতে পারল, আমি বুঝতে পারছি না।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বড় ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
পাবনার ঈশ্বরদীতে বড় ভাই মনিরুল ইসলাম সরদারের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাই জিপু সরদারের নিহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একদিন পরও এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।
নিহত জিপু সরদার (৩০) ও আহত মনিরুল ইসলাম সরদার (৩৮) ওই গ্রামের রিকাত আলী সরদারের দুই ছেলে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিরোধ, বাড়ির সীমানা ও জমিজমা নিয়ে প্রায়ই দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লাগতো। আগের ঝগড়ার জের ধরে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া বাধে। ঝগড়া থেকে মারামারির এক পর্যায়ে বড় ভাই মনিরুলকে আঘাত করে জিপু, পরে জিপুর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মনিরুল। এতে দুজনই গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় দুই ভাইকে একই অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহীতে নেওয়ার পথে জিপু মারা যায়।
আহত বড় ভাই মনিরুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ও আহত দুই ভাইয়ের বাবা রিকাত আলী সরদার বলেন, দুজনই আমার সন্তান। দুজনের মধ্যে আগে থেকেই বনিবনা ছিল না। কিন্তু এভাবে একজন আরেক জনকে হত্যা করবে তা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি কী করবো তাও ভেবে পাচ্ছি না। এদিকে আহত বড় ভাই মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালে তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত জিপুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম করার পর মরদেহ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি বলে নিশ্চিত করে ওসি বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।