বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। 

বুধবার (১২ মার্চ) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অধ্যাপক নার্গিস বেগম বিএনপির প্রয়াত নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মা।

নার্গিস বেগমকে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করায় যশোর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, দলে তার দীর্ঘদিনের অবদান এবং ত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তারা মনে করছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে বসিয়েছেন। এ জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

নার্গিস বেগম বিএনপির রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বামী তরিকুল ইসলামের মৃত্যুর পরও তিনি দলের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থেকেছেন এবং সংগঠনের কাজ চালিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে যশোর বিএনপি সংগঠিত থেকেছে এবং বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।

নার্গিস বেগমের নেতৃত্বে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। তারা আশা করছেন, তিনি দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন এবং যশোরসহ পুরো খুলনা বিভাগে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি আরও মজবুত করবেন।

ঢাকা/রিটন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র গ স ব গম ব এনপ র স ন ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঘরোয়া রান্নার স্মৃতিময় বই ‘খাদ্যবিলাস’

নাম বললেই চেনা যাবে, আনোয়ারা তরফদার এমন কোনো বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী নন। তাঁর রান্না একান্তই ঘরোয়া, তবে তাঁর সৃজনশীলতা ভিন্নতর। সেসব রান্নার রেসিপি নিয়েই প্রকাশিত তাঁর রান্নার বই ‘খাদ্যবিলাস’–এর মোড়ক উন্মোচন হলো আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে।

একসময়ের জনপ্রিয় সাময়িকী সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য় প্রায় ৩০ বছর আগে আনোয়ারা তরফদারের রান্নার রেসিপিগুলো প্রকাশিত হয়েছিল। পরে সেই লেখাগুলো নিয়ে বইও প্রকাশিত হয়। অনেক দিন থেকেই বইটি বাজারে ছিল না। আনোয়ারা তরফদারের মেয়ে কবি শামীম আজাদ বইটি নতুন করে সম্পাদনা ও পরিবর্ধন করেছেন। প্রকাশ করেছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেন, ষাটের দশকে মধ্যবিত্ত পরিবারের রান্নার বিলাস বাহুল্য ছিল না বটে, কিন্তু তার মধ্যেও বিশেষ বিশেষ দিনে প্রিয়জনদের সামনে ভালোমন্দ রান্না তুলে ধরতে চাইতেন সব গৃহিণী। সীমিত বাজেটে কীভাবে হৃদয়, বুদ্ধি, মমতা এবং ভালোবাসায় সাধারণ রান্নাকে অসাধারণ সুস্বাদু করে আপনজনের রসনা তৃপ্ত করা যায়, সে ব্যাপারটি আনোয়ারা তরফদারের ‘খাদ্যবিলাস’ বইটিতে রয়েছে।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘আমরা এখন বাণিজ্যের পৃথিবীতে বসবাস করছি। একটা সময় প্রকৃতি ও সভ্যতা জড়াজড়ি করে থাকত। এখন চলছে প্রকৃতি বিনাশী কর্মকাণ্ড। এই রান্নাগুলো কেবল খাদ্য প্রস্তুত করা নয়, এর সঙ্গে সেই সময়ের যৌথ জীবন, সংস্কৃতি, প্রকৃতি সংলগ্নতা আর মায়া–মমতার বিষয়ও মিলে মিশে আছে। এই রান্না একান্তই বাঙালির ঘরোয়া রান্না। ঘরে ঘরে বাঙালির রান্না যেন টিকে থাকে, সেই কামনা করি।’

অর্থনীতিবিদ সেলিম জাহানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন শাহীন আনাম, আফজাল হোসেন, আব্দুন নূর তুষার, আলপনা হাবিব ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মজুমদার বিপ্লব। মায়ের স্মৃতিচারণা করেন ছেলে ফজলে আকবর তফরদার ও বইটির সম্পাদক কবি শামীম আজাদ। ধন্যবাদ জানান নাতি লাবিব তালুকদার।

‘খাদ্যবিলাস’ বইটি নিয়ে আলোচকেরা বলেছেন, এই রান্নার মধ্যে জড়িয়ে আছে স্মৃতি। একটি সময়কে ধরে রাখা আছে। এগুলো আসলে মায়ের হাতের রান্না। আর মায়ের হাতের রান্না শুধু খাদ্য নয়, অমৃতের মতো।

আনোয়ারা তরফদারের জন্ম গত শতকের ত্রিশের দশকে বৃহত্তর সিলেটে। স্বামী ছিলেন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। স্বামীর চাকরিসূত্রে অবিভক্ত ভারতের আসাম ও পরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে থেকেছেন। স্বামীর সীমিত আয়ে তিনি নিপুণভাবে সংসার পরিচালনা করেছেন। বাঙালির চিরায়ত রান্নায় তাঁর ছিল বিশেষ পারদর্শিতা। এ ছাড়া সূচিকর্ম, মৃৎপাত্রে অঙ্কনসহ বিভিন্ন কারুকর্মেও তাঁর বিশেষ সৃজনশীলতা ছিল। একটা সময় তিনি ঢাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেয়েদের পুঁতির গয়না তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ