বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা। মাঝে মাঝে ফ্যাশনেবল ও ব্যয়বহুল পোশাক পরে আলোচনার জন্ম দেন। আর এসব ছবি ভক্তদের কাছে পৌঁছে দিতে বেছে নেন সোশ্যাল মিডিয়া। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি, বিলাসবহুল গাড়ি কিনে আলোচনায় উঠে এলেন এই নায়িকা।
পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের কালিনান ব্ল্যাক মডেলের গাড়ি কিনেছেন উর্বশী রাউতেলা। প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে সীমিত সংস্করণের এই গাড়ির মালিক হলেন তিনি। গাড়িটি কিনতে উর্বশীকে ব্যয় করতে হয়েছে ১২ কোটি ২৫ লাখ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ কোটি টাকার বেশি।
এর আগে ভারতীয় কয়েকজন তারকা অভিনেতা রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের এই গাড়ি কিনেছেন। তারা হলেন— শাহরুখ খান, অজয় দেবগন, আল্লু অর্জুন। তা ছাড়াও মুকেশ আম্বানি এ মডেলের একটি গাড়ি কিনেছেন।
উর্বশী অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ডাকু মহারাজ’। গত ১২ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তেলেগু ভাষার এই সিনেমা। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নান্দামুরি বালাকৃষ্ণা। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রূপায়ন করেন উর্বশী রাউতেলা। সিনেমাটির ‘দাবিডি ডিবিডি’ শিরোনামের গানে নেচে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। তবে বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলে সিনেমাটি।
এখন পর্যন্ত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি বিজয়ী হওয়ার রেকর্ড রয়েছে উর্বশীর দখলে। পাশাপাশি বলিউডের ‘সিং সাব দি গ্রেট’, ‘সনম রে’, গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি’, ‘হেট স্টোরি ফোর’, ‘পাগলপান্তি’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জের ৫ উপজেলায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ শিশু খাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল
নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় (সিটি করপোরেশন এলাকা ব্যতীত) ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ জন শিশুকে শনিবার (১৫ মার্চ) খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে সাংবাদিক ওরিয়েন্টন সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. আ. ফ ম. মুশিউর রহমান জানান, জেলার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪২ হাজার ২৪৯ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৯৮ হাজার ২১২ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এছাড়া শিশুকে জন্মের ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বুকের দুধ পান করাতে হবে এবং শিশুর বয়স ৬মাস পূর্ন হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হইবে।
অত্র জেলায় (সিটি করপোরেশন ব্যতিত) স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬টি, প্রতি কেন্দ্রে মোট ৩ জন (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীসহ) শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
দিবসটি পালনের জন্য সর্বস্তরের জনগোষ্ঠিকে অবহিত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে সর্বত্র মাইকে প্রচারনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তাছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিবসটি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেছেন।
জেলা তথ্য বিভাগ এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও মাইকিং এর মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা মূলক প্রচারনা অব্যাহত আছে। এছাড়াও জেলার মসজিদগুলোতে মাইকের মাধ্যমে জানানোর জন্য ইমামদের প্রতি নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়েছে।
যেসব এলাকায় শিশুদের বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব এলাকাগুলোতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে ইটভাটা, বেদেপল্লী, পথশিশু, চর এলাকা, এতিমখানা, বস্তিসহ অন্যান্য দুর্গম এলাকাগুলোতে ক্যাম্পেইনের পরবর্তী ৪ দিন অনুসন্ধান চালানো হবে।
কোন শিশু যদি ক্যাম্পেইনের দিন বাদ পড়ে যায় তাহলে পরেও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খেতে পারবে।
জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম মেহেদী হাসান।
সভায় অন্যান্যদের আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইমুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. মোরশেদুল ইসলাম খান, ডা. নাসিরুল হক, স্টোর কিপার ইব্রাহীম খান, শওকত জামান, পরিসংখ্যানবিদ মো. সাইফুল সালমান প্রমূখ।