পুলিশের কাছ থেকে নানকের সহযোগী মোস্তফাকে ছিনিয়ে নিল সহযোগীরা
Published: 13th, March 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সহযোগী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় পাঁচ মামলার আসামি গোলাম মোস্তফাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে সহযোগীরা। গতকাল বুধবার মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকার বি ব্লকের ৭ নম্বর রোডে গোলাম মোস্তফার কর্মচারী ও স্থানীয় সহযোগীরা তাঁকে ছিনিয়ে নেয়। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে লালমাটিয়ার বি ব্লকের ৭ নম্বর রোডে মোহাম্মদপুর থানার একটি দল আসামি গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করতে যায়। তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরানোর সময় আশপাশে থাকা ৮-১০ জন সিকিউরিটি গার্ড ও স্থানীয় কয়েকজন এসে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়।
গোলাম মোস্তফা নানকের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত। জুলাই আন্দোলনের সময় নানককে ২৫ লাখ টাকা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান বলেন, পুলিশ লালমাটিয়া এলাকায় মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করতে যায়। এ সময় তাঁর কয়েকজন কর্মচারী ও স্থানীয় লোকজন মানবঢাল তৈরি করে তাঁকে গ্রেপ্তারে বাধা দেয়। পুলিশ আসামিকে নিয়ে আসতে চাইলে বাধা দেয় এবং পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় বাকিদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা বলেন, মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি দল একাধিক মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে লালমাটিয়া এলাকায় যায়। কিন্তু সেখানে কিছু লোক আগে থেকেই থাকায় গ্রেপ্তার করতে বাধা দেয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত আওয় ম ল গ ম হ ম মদপ র থ ন গ র প ত র করত গ র প ত র কর সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার, দালাল আটক
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ায় সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নেজাম উদ্দিন (২০) নামে এক দালালকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে এদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
আটক নেজাম উদ্দিন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজমপাড়ার মোহাম্মদ হোসেন ওরফে লাল মোহাম্মদের ছেলে।
উদ্ধার হওয়া ১৮ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৫ জন শিশু, ১১ জন নারী ও ২ জন পুরুষ রয়েছেন। তারা উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, “পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের সদস্যরা কিছু রোহিঙ্গাকে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করছে। এরপর পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।”
তিনি আরও বলেন, “অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে এবং ১৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে।”
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা তাদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে সেখানে নিয়ে আসে। পরে বুধবার রাতে তাদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য ট্রলারে উঠানোর পরিকল্পনা করেছিল দালাল চক্রটি।
আটক ব্যক্তিসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি।
ঢাকা/তারেকুর/টিপু