খেলছিল তিন বছরের শিশু, বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা
Published: 13th, March 2025 GMT
পঞ্চগড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম সৌরভ (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিশুটিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে সৌরভের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী সৌরভ কৌশলে শিশুটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে তার মা খুঁজতে গিয়ে সৌরভের ঘরে দেখতে পান। অভিযুক্ত সৌরভের বাড়ি পঞ্চগড় পৌর সভার দর্জিপাড়া এলাকায়।
পরে ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে অভিযুক্ত সৌরভ শিশুটির বাবাকে মারধরও করে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা.
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার মা বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রোনালদো ব্র্যান্ডের মূল্য রেকর্ড ১২ হাজার কোটি টাকা
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড। ফুটবল খেলে তার রোজগার, বিজ্ঞাপন থেকে আয়, সোস্যাশ মিডিয়া থেকে আসা অর্থ ও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় জড়িত থাকায় যে অর্থ তিনি উপার্জন করেন তার সঙ্গে রোনালদো ব্র্যান্ড ব্যবহার করে অন্যের করা আয়কে একত্রিত করে ২০২৫ সালে সিআরসেভেন ব্র্যান্ডের মূল্য দাঁড়াবে রেকর্ড ৮৫০ মিলিয়ন ইউরো বা ১১ হাজার ৭০৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা।
পর্তুগালের পর্তুগিজ ইন্সটিটিউট অব অ্যাডমিস্ট্রিট্রেশন এন্ড মার্কেটিং এক গবেষণায় এই তথ্য পেয়েছে। তাদের পাওয়া তথ্য মতে, রোনালদো সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসর থেকে বছরে ২০০ মিলিয়ন ইউরো উপার্জন করেন। বিজ্ঞাপন থেকে বছরে তার আয় আসবে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়া তার ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় আছে।
এর সঙ্গে রোনালদোর আছে সিআরসেভেন ক্লোদিং ব্র্যান্ড। আন্ডারওয়ার, জুতা ও সুগন্ধী বিক্রি হয় এই ব্র্যান্ড থেকে। ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায় তার হোটেল ব্যবসা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার ব্যয়বহুল সম্পত্তি রয়েছে। জার্মানির একটি দামী ব্র্যান্ডের ঘড়ির সঙ্গে তার ব্যবসায়িক শেয়ার রয়েছে। এছাড়া রোনালদো ফুটবল ক্লাব কেনার চেষ্টা করছেন। এসব ব্যবসা থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করেন তিনি।
সঙ্গে রোনালদোর নাম ব্যবহার করে অনেক ধরনের আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের বিষয়ও রয়েছে। যেমন অ্যামাজনে রোনালদোর নামে ৪০০’র মতো বই রয়েছে। তার আর্থিক মূল্য রয়েছে। আবার প্রতি বছর বিশ্বে রোনালদোর নাম ব্যবহার করে ২ কোটি ২৩ লাখের মতো সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এটারও আর্থিক মূল্য আছে। সব কিছু বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে রোনালদো ব্র্যান্ডের মূল্য।
রোনালদোর বয়স প্রায় ৪০ বছর। এই বয়সে ক্রীড়াবিদদের ব্র্যান্ড ভেল্যু সাধারণত কমে। রোনালদোর মূল্য বাড়ার কারণ হচ্ছে এখনো তিনি গোল করে যাচ্ছেন। এক হাজার গোলের লক্ষ্য ধরে এগোচ্ছেন তিনি। সৌদি লিগে আসার কারণে তার বেতন পূর্বের চেয়ে কয়েক গুন বেড়েছে। আবার বিজ্ঞাপন থেকেও তার আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
উলফ স্পোর্টসের মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ ও ব্যবস্থাপনা অংশীদার ফ্যাবিও উলফ বলেছেন, ‘রোনালদো ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মার্কেটিং ভাবমূর্তি সম্পন্ন ব্যক্তি। প্রতিভা, পরিশ্রম, ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, জীবন শৃঙ্খলা ও অন্যান্য কৌশলের কারণে তার ব্র্যান্ড ভেল্যু এই পর্যায়ে এসেছে।’