Samakal:
2025-04-12@09:50:26 GMT

১ টাকার ইফতারির দোকান

Published: 13th, March 2025 GMT

১ টাকার ইফতারির দোকান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ফরিদা বেগমের স্বামী মারা গেছেন আগেই। একমাত্র ছেলে আলাদা সংসার করেছেন, তাঁর খোঁজ রাখেন না। তিনি থাকেন বস্তির খুপরি ঘরে। চার মেয়ের মধ্যে দু’জনের জামাই মারা যাওয়ায় তাদের চার সন্তানসহ থাকেন একসঙ্গে। এক নাতি প্রতিবন্দ্বী। মেয়েরা অন্যের বাড়ি কাজ করেও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। ইফতারি কেনা তাঁর কাছে বিলাসিতা। নাতিকে নিয়ে ১ টাকার ইফতারির দোকানে এসেছিলেন তিনি।
ফরিদা বেগমের ভাষ্য, ‘১ টাকায় কি কিছু পাওয়া যায়? কিন্তু তারা ইফতারি দিচ্ছেন। এতেই আমরা খুশি। আমরা গরিবরা যেন রোজার মাসটা একটু খেয়ে ভালো থাকতে পারি।’ জেলা বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ১ টাকার ইফতারির দোকান বসানো হয়েছে। এখানে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় লেগেই থাকে। বিকেল ৪টা থেকে খোলার কথা থাকলেও দুপুরেই লম্বা লাইন লেগে যায়।
শহরের সরকারি কলেজগেট এলাকায় বসানো দোকানটি নিম্ন আয়ের মানুষের ইফতারি কেনার ঠিকানা হয়ে উঠেছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের দীর্ঘ লাইন লেগে রয়েছে। ইফতারসামগ্রী আনতে আনতে ৩টা বেজে যায়। ৪টায় শুরুর কথা থাকলেও চাহিদা বিবেচনায় আগেই বিক্রি শুরু হয়ে যায়। মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে কেনা যায় একটি করে পেঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা, শসার টুকরো, খেজুর, জিলাপি, মুড়ি ও সবজি বড়া।
শনিবার বিকেলে আয়োজকদের তৈরি সামগ্রী শেষ হওয়ার পরও অপেক্ষায় ছিলেন মানুষ। ফলে আরও কিছু ইফতারসামগ্রী আনা হয় তাদের জন্য। আয়োজকরা জানান, তৃতীয় রোজা থেকে শুরু হওয়া এ উদ্যোগ চলবে রমজানের শেষ পর্যন্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলছিলেন, বাজারে চারজনের ইফতারসামগ্রী কিনতে গেলে অন্তত ৮০ টাকা লাগে। এখানে মাত্র ১ টাকায় তারা পাচ্ছেন। মাসে ৮ হাজার টাকা আয় দিয়ে সংসার চালানো দায়। একটু খারাপ লাগলেও এ সুযোগটা তিনি নিচ্ছেন।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মেহেদী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা দিন দিন কমছে। তখন এ ধরনের উদ্যোগ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এ ধরনের ইতিবাচক দিক সব দলে থাকলে দেশে খারাপ বলতে কিছু থাকবে না।
ইফতারসামগ্রী বিতরণে নিয়োজিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী বাবর আলী রুমন। তিনি বলেন, অসহায় মানুষ যেন এটাকে দান মনে না করে। তাদের সম্মানের কথা ভেবেই ১ টাকার বিনিময়ে এসব সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ২০০ জনকে ইফতারি দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও চাহিদা বেশি থাকায় তারা বিব্রত হন। অনেক সময় ম্যানেজ করে বিতরণ করা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি প্রয়াত আনোয়ার হোসেনের রুহের মাগফেরাত কামনায় এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো.

রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ইফতারসামগ্রী বিতরণে সহায়তা করছেন। ১২ পদের ১ টাকার ইফতারি প্রতিদিন ২০০ জনকে দেওয়া হলেও এর পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ ১ ট ক র ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে মিরপুরে তামিম

মিরপুর শের-ই-বাংলায় হুট করে দেখা মিলল তামিম ইকবালের। শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা লীগে মোহামেডান বনাম আবাহনী ম্যাচ চলছে। তামিম দুপুর তিনটা নাগাদ মাঠে আসেন। শুক্রবার রাতে চিকিৎসা নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেন তিনি। আজ দুপুরে মাঠে এসে ড্রেসিং রুমে বসে কয়েক ওভার খেলা দেখেন তামিম। শারীরিক অসুস্থতায় না পড়লে তামিমকেও নিশ্চিতভাবে মোহামেডানের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে দেখা যেত। কিন্তু আপাতত তাকে বিশ্রামে থাকতে হচ্ছে।

গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে ঢাকা লিগের ম্যাচ খেলতে নামার আগে প্রথ‌মে মাইনর ও প‌রে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে’ অজ্ঞান হ‌য়ে পড়েন তামিম। তাকে সাভারের কে‌পি‌জে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছিল যে, ২২ মিনিট সময় ধ‌রে সি‌পিআর ও তিনটি ডি‌সি শক দি‌তে হ‌য়ে‌ছে। এরপর দ্রুত এন‌জিওগ্রাম ক‌রে শতভাগ ব্লক থাকা একটা আর্টারিতে রিং লা‌গি‌য়ে‌ছেন চিকিৎসকরা। অবিশ্বাস্য গ‌তি‌তে হ‌য়ে‌ছে সব‌কিছু। চিকিৎসকদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সময়মতো হওয়ায় তামিম পেয়েছেন নতুন এক জীবন।

পরদিন ২৫ মার্চ, রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে আনা হয় বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে। এরপর গত ২৮ মার্চ, হার্ট অ‌্যাটাকের চারদিন পর চিকিৎসকের ছাড়পত্র পেয়ে বাসায় ফেরেন তামিম।

আরো পড়ুন:

‘পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা পেয়েছেন তামিম’

চারদিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় তামিম

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ