শেষ হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর রোমাঞ্চকর লড়াই। উত্থান-পতন আর হাসি-কান্নার ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই থেকে এই পর্বে ছিটকে গেছে ৮টি দল। যেখানে আছে ফেবারিট লিভারপুলও। তবে লিভারপুলের বিদায় ছাড়া, বাকি আট দল ফেবারিট হিসেবে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে লড়াইয়ের উত্তাপও।

তবে এই পর্বে সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে রিয়াল আর্সেনাল দ্বৈরথে। অবশ্য পিছিয়ে রাখা যাবে না বার্সেলোনা-বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের লড়াইকেও। এখন শেষ আটে কে কার মুখোমুখি হচ্ছে একনজরে দেখে নেওয়া যাক। শেষ আটের প্রথম লেগের লড়াই মাঠে গড়াবে ৮ এপ্রিল। আর দ্বিতীয় লেগে দলগুলো মাঠে নামবে ১ এপ্রিল।

শেষ আটে কে কার মুখোমুখি

বায়ার্ন মিউনিখ : ইন্টার মিলান

বার্সেলোনা : বরুসিয়া ডর্টমুন্ড

পিএসজি : অ্যাস্টন ভিলা

আর্সেনাল : রিয়াল মাদ্রিদ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ষ আট

এছাড়াও পড়ুন:

আজ আরও দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হলো মাগুরার শিশুটির

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আটবছর বয়সী শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। আজ বৃহস্পতিবার আরও দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে। দ্বিতীয় বারে প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পর রিভার্স করেছে। তবে ব্রেন ফাংশন করছে না। রক্ত চাপ ও অক্সিজেন লেভেল অনেক কম।

এর আগে বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়। 

তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। শিশুটির সুস্থতার জন্য সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটির চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, শিশুটি আজ (বুধবার) চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ মিমি পারদ কিংবা তার চেয়ে নিম্নমুখী।

আট বছরের শিশুটি গত বুধবার (৫ মার্চ) বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ