রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হরেদরে সবাইকে ‘শাহবাগী’ বলা বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বুধবার দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে এ আহ্বান জানান।

মাহফুজ বলেন, জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল। কিন্তু নাহিদ ইসলাম যেভাবে বলেছেন, এ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা কাফফারা দিয়েছেন। আমিও বলেছি, জামায়াতের যারা বাংলাদেশপন্থি, তারা এদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখেন। জামায়াতের নতুন প্রজন্মের অল্প কিছু ব্যতিক্রম বাদে কেউই পাকিস্তানপন্থি নন। ফলে স্বাধীনতাবিরোধী ট্যাগ দিয়ে জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা যাবে না। রাজনৈতিক ও আদর্শিক লড়াই করেই তাদের বিরুদ্ধে জিততে হবে। তাদের প্রোপাগান্ডা ওয়ারের জবাব দিতে হবে সত্য দিয়ে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

কলেজছাত্রীর হাত-মুখ চেপে ধরে টাকা-ফোন ছিনিয়ে নিল অটোর যাত্রী  

নোয়াখালীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক ছাত্রীর হাত-মুখ চেপে ধরে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। গতকাল বুধবার রাত ১০টা থেকে উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তায় তারা সড়ক অবরোধ করেন। এর আগে, একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী টু মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কে দরবেশপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এ ঘটনা ঘটে।   

বেগমগঞ্জের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. জাহেদ হোসেন জানান, বুধবার বেগমগঞ্জের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজক্যাম্পাসে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ইফতার মাহফিল ছিল। ১৫তম ব্যাচের এক ছাত্রী ইফতার মাহফিল শেষে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অটোরিকশাটি চৌমুহনী টু মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কে দরবেশপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছনের সিটে বসা পুরুষ যাত্রীরা তার হাত মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে তার মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।

জাহেদ হোসেন আরও জানান, পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ছাত্রী চিৎকার করলে একলাশপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় অটোরিকশা থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে চালক ও যাত্রীসহ তিনজন পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সহপাঠীদের জানান। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টাব্যাপী ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন। রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক হয়।  

জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ার বলেন, বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদের কথা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ