৭ বছর পর চুয়েট ছাত্রলীগের ছয় নেতার নামে মামলা
Published: 12th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০১৮ সালে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক ৬ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাত বছর পর মামলা দুটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম ও জামিল আহসান।
রাউজান থানায় ওই মামলায় আসামিরা হলেন– চুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, সাখাওয়াত হোসেন, অতনু মুখার্জি, নিলয় দে, মেহেদী হাসান ফরহাদ ও মোহাম্মদ ফখরুল হাসান ফাহাদ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জামিল সমকালকে বলেন, নির্যাতন শেষে বাকের বলেছিল, হাসিনা আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। অর্থাৎ তারা ভেবে নিয়েছিল ওই নির্যাতনের জন্য তাদের কখনও জবাবদিহি করতে হবে না। এজন্যই মামলাটি করেছি।
মামলায় কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি মাহমুদুল। তিনি বলেন, ওই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আমার জীবনে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চারুকলার দুই মোটিফে আগুন দেওয়া ১ জন চিহ্নিত: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় একজনকে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার দুপুরে সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আগুনের ঘটনার তদন্তে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩ কর্মকর্তা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩ কর্মকর্তা জানান, নববর্ষ উদযাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসেছে। শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে মোটিফগুলোতে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়ার সময় তার মুখে মাস্ক থাকায় তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তারা আরও বলেন- ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি চারুকলা অনুষদের প্রাচীর টপকে গাছের নিচের অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় অবস্থান নেন। এরপর অনেকগুলো মোটিফের মধ্যে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রায়’ সে তরল পদার্থ জাতীয় কিছু ছিটায়। পরে এদিক ওদিক তাকিয়ে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও জানায়, মোটিফগুলোতে আগুন দেওয়ার পর ওই ব্যক্তি আবার আগের জায়গায় ফিরে এসে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। ভালো করে আগুন ধরেছে নিশ্চিত হওয়ার পর সে ওই স্থান ত্যাগ করে।
ঘটনার তদন্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পাশাপাশি ডিবি ও র্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।