অপচিকিৎসায় দুই রোগীর মৃত্যুসহ রিং বাণিজ্য ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ওঠা রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবুর রহমানকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছেন সহকর্মীরা।

গত মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যত্র পদায়ন বা বদলির আবেদন জানিয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছেন। এতে সই করেছেন কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা.

হরিপদ সরকার, ডা. রবীন্দ্রনাথ বর্মণ, সহকারী অধ্যাপক ডা. আবু জাহিদ, ডা. হাসানুল ইসলাম, জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আশেকুর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল আলীম সরকারসহ ১১ চিকিৎসক।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ডা. মাহবুবুর কর্তৃক হার্টের রক্তনালিতে রিং পরানোয় অনিয়ম নিয়ে ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রমেক হাসপাতাল কর্তৃক গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি তদন্তও করেছে। কিন্তু ডা. মাহবুবুর অভিযোগকারীদের ভয়ভীতি ও অর্থনৈতিক প্রলোভন দেখিয়ে উত্থাপিত অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। এ অবস্থায় তিনি রমেকে থাকলে তাঁর অনিয়মের পুনরাবৃত্তি এবং রোগীদের প্রতিবাদের আশঙ্কাসহ সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে। 

প্রয়োজন না হলেও রোগীকে ‘আতঙ্কিত’ করে রিং স্থাপনে উৎসাহিত করা, হার্টের রক্তনালিতে একটি রিং (স্টেন্ট) স্থাপন করে তিনটির টাকা নেওয়া, রিং না বসিয়ে সার্জারি করেই রিংয়ের টাকা আদায় করাসহ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ আছে ডা. মাহবুবুরের বিরুদ্ধে। এসবের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হতেই তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে অভিযোগ তুলে নিতে ‘চাপ ও হুমকি’ দিচ্ছেন বলে ২২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন আতোয়ার রহমান নামে এক ভুক্তভোগী। 

অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. মাহবুবুর বলেন, প্রত্যেক রোগীর হার্টে রিং স্থাপনের পর তাঁকে রিপোর্ট কপি এবং সিডি দেওয়া হয়। সেখানে বিস্তারিত তথ্য থাকে। এর পরও যদি কেউ অভিযোগ করেন, তাহলে এটা দুঃখজনক।

ডা. মাহবুবুরকে সরাতে কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায় সিদ্ধান্ত নেবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র রহম ন কর ছ ন তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় চূড়ান্ত বিচারে তিনি উত্তীর্ণ হবেন

শ্রদ্ধা–ভালোবাসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে স্মরণ করলেন তাঁর সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই স্মরণসভার আয়োজন করেন।

আজ বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এই স্মরণসভা হয়। সকাল ১০টায় স্মরণসভা শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা দুইটার দিকে। সভায় অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের পরিবারের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রয়াত এই শিক্ষকের কথা বলতে গিয়ে তাঁদের অনেকে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা প্রয়াত এই অধ্যাপকের প্রতি তাঁদের ভালোবাসার কথা উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক গত ১৩ মার্চ রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে স্মরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘তিনি আপাদমস্তক একজন ভদ্রলোক ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা যখন থাকবে না এই চিন্তাটি করা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। এ কাজটি মূলত আরেফিন সিদ্দিক স্যার করেছিলেন।’ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে যাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করতাম, তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন। আমি বিশ্বাস করি, মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় চূড়ান্ত বিচারে তিনি উত্তীর্ণ হবেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণসভার শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আজ বুধবার মোজাফ্‌ফর আহমেদ চৌধুরী অডিটরিয়াম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় চূড়ান্ত বিচারে তিনি উত্তীর্ণ হবেন