পাঁচ দফা দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে চলা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং চিকিৎসকরা। আজ বুধবার রাতে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের (ডিএমজে) নেত্রী নাজিয়া আলী সমকালকে এ তথ্য জানান।
এদিন সকাল থেকে চিকিৎসকরিা কর্মবিরতিতে গেছে বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালগুলোর বর্হিবিভাগ সেবা। ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস (ডিএমজে) নেত্রী নাজিয়া আলী বলেন, মোট ১৯টি চিকিৎসক সংগঠন মিলে সারাদেশের কর্মবিরতি পালন করেছে। ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের রায় আসার পর ১৮টি সংগঠন কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে।
তবে পাঁচ দফা বাস্তবায়নের জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি ব্যানার থেকে বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় রাজু ভাস্কর্যে সাংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইফতারের আগে কিছু চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলবে বলেও জানান তারা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল নবজাতক, হাসপাতালে ভর্তি
লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নবজাতককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছে শিশুটি।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে জেলা শহরে মিয়া রাস্তার মাথা এলাকার লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশ থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এর আগে, শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। এসময় নবজাতককে দেখতে আশপাশের মানুষজন ভিড় জমায় ঘটনাস্থলে। পরে রাতেই পুলিশ শিশুটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা হাসপাতালে যান শিশুটির খোঁজ নিতে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শরীফ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েদির মৃত্যু
ছেলে সন্তানের জন্ম দিল ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী
মিয়া রাস্তা এলাকার বাসিন্দা কামাল মাঝি বলেন, “অন্ধকার থেকে হঠাৎ শিশুর কান্না ভেসে আসে। প্রথমে চমকে উঠি। পরে শিশুটিকে কোলে নেই। শিশুটিকে দেখতে মানুষজনও জড়ো হতে থাকে। পরে পুলিশের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে গেছে তা কেউই দেখেননি।”
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, “শিশুটিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসে তাকে দেখবেন। তারা শিশুটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আরো ভালো বলতে পারবেন।”
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ইউএনও জামসেদ আলম রানা বলেন, “শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সরকারি দায়িত্বে সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। পরিচয় না মিললে আমরা চট্টগ্রাম শিশু নিবাসে তাকে হস্তান্তর করব। কেউ যদি শিশুটিতে নিতে চান, তাহলে আদালতের মাধ্যমে দেওয়া হবে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ