আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলের হামলা জোরদার
Published: 12th, March 2025 GMT
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। দখলদার দেশটির হামলায় শিশুসহ আরও অন্তত আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে। খবর আলজাজিরার।
বুধবার সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের হামলা জোরদার হয়েছে এবং এতে এক শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ত্রাণ গোষ্ঠী গাজায় প্রবেশকারী ত্রাণের ওপর ইসরায়েলি অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের কাছে নেটজারিম এলাকায় একদল ফিলিস্তিনি একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির কাছে জড়ো হওয়ার পর একটি ইসরায়েলি ড্রোন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের পূর্বে অবস্থিত শোকা গ্রামে আরেকটি ড্রোন হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নারী নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও ওই এলাকার ফিলিস্তিনি বাড়িগুলোয় গুলিবর্ষণ করেছে।
ফিলিস্তিনি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তে অবস্থানরত সেনারা মধ্য গাজার দক্ষিণ-পূর্ব দেইর আল-বালাহর একটি অঞ্চলে সরাসরি গুলি চালালে একটি শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
এদিকে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে হামাস নতুন দফায় আলোচনা শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় নতুন করে গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ফিলিস্তিনি আন্দোলন ‘ইতিবাচক ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে’ আলোচনায় এগিয়ে আসছে।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দিবিনিময় ও স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
এদিকে ফের ইসরায়েলি জাহাজে সামরিক অভিযান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা। গাজায় ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন যোদ্ধারা। সেই সময়সীমা শেষ হলেও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলে ইসরায়েলি জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে আবার সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হলো।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুপুরে হাত–পা বেঁধে হত্যার পর ডাকাতি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পল মজুমদার খোকন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা তার ছেলে পিয়াস মজুমদারকে হাত–পা বেঁধে হত্যার পর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের লাকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পল মজুমদার খোকন একজন দন্তচিকিৎসক ও তার স্ত্রী অনিতা বৈদ্য একজন নার্স। প্রতিদিনের মধ্যে আজ সকালে তারা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। দুপুরে পল মজুমদার বাড়িতে এসে তার ছেলে পিয়াস মজুমদারকে (২২) হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাটের ওপর দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পিয়াস মজুমদারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডাকাতরা পিয়াস মজুমদারকে হত্যার পর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পল মজুমদার খোকনের প্রতিবেশী সলমন মজুমদার। তিনি বলেন, পল মজুমদারের চিৎকার শুনে তারা বাড়িতে গিয়ে পিয়াস মজুমদারকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় দেখে হাসপাতালে পাঠান। খোকন মজুমদারের ঘরের সব আসবাবপত্র ভাঙচুর ও এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া গেছে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।