দেশের ব্যাংক খাতের ঋণমান নেতিবাচক করেছে মুডিস
Published: 12th, March 2025 GMT
আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি মুডিস বলেছে, সম্পদের মানের অবনতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সংস্থাটি বাংলাদেশের ঋণমান ‘বি-ওয়ান’ থেকে কমিয়ে ‘বি-টু’তে নামিয়েছে। অর্থাৎ এই পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ অবস্থায় চলে গেছে।
বিশ্বখ্যাত ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস আজ বুধবার এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সম্পদের ঝুঁকি বাড়ছে ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, যা ব্যাংকগুলোর মুনাফা ও স্থিতিশীলতার ওপর চাপ তৈরি করবে।
সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী জুনে শেষ হওয়া চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে, যা আগের বছরের ৫ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ কম।
মুডিস বলছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হয়ে যাওয়ায় এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের কার্যক্রম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তারা বলছে, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, তৈরি পোশাকশিল্পের সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা হ্রাস অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দ হওয়ার অন্যতম কারণ।
অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ মাসের ব্যবধানে নীতিগত সুদের হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে। তারপরও এখনো মূল্যস্ফীতি উচ্চমাত্রায় রয়েছে। এটি প্রায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশে থাকার আশঙ্কা করছে মুডিস।
মুডিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সম্পদের ঝুঁকি বাড়ছে। কারণ, খেলাপি ঋণের হার বেড়ে চলেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ১৭ শতাংশে পৌঁছায়, যা কি না তার ৯ মাস আগে ছিল ৯ শতাংশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
গাজার পরিস্থিতি ‘খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে’
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজ্জারিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি ‘খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে।’ ইসরায়েল আবার গাজা উপত্যকায় সব ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে সোমবার তিনি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের লাজ্জারিনি বলেন, “উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, এটি স্পষ্টতই গাজায় মানবিক সাহায্যের অস্ত্রায়ন হয়েছে।”
তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের অগ্রগতি বজায় রাখতে এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য গাজায় আবারো মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
লাজ্জারিনি জানিয়েছেন, নতুন কর ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির আগে দেখা ‘ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার’ দিকে ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে গাজায়।
ইউএনআরডব্লিউএ ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ফিলিস্তিন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের সহায়তা প্রদান করে আসছে। তবে সম্প্রতি সংস্থাটির কার্যক্রম বারবার ব্যাহত করেছে ইসরায়েল। এমনকি সংস্থাটিকে নিষিদ্ধও করেছে নেতানিয়াহু সরকার।
লাজ্জারিনি বলেন, ইউএনআরডব্লিউএ-এর “পতন অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একটি বিপজ্জনক শূন্যতা তৈরি করবে এবং জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়াজুড়ে ধাক্কার তরঙ্গ পাঠাবে। যে পরিবেশে শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকে এবং মানুষ মৌলিক পরিষেবাগুলোর সুবিধা পায় না, তা শোষণ ও চরমপন্থার জন্য উর্বর ভূমি।”
ঢাকা/শাহেদ